ঢাকা, শনিবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন ভাই গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৩
বাগেরহাটে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন ভাই গ্রেপ্তার

বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলায় মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

শুক্রবার (১১ আগস্ট) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়।

এর আগে হত্যার শিকার পাপিয়ার ভাই আল আমিন খলিফা বাদী হয়ে হত্যার শিকার পাপিয়ার স্বামী আবু জাফরসহ সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামিকে করে শরণখোলা থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদার (৪৫), নেহারুল হাওলাদার (৪৮) ও মিলন হাওলাদার (৪০)। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, মা-মেয়ে হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা আপন তিন ভাই। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ওই নারীর সঙ্গে তার স্বামীর পারিবারিক কলহ ছিল। তার স্বামীও এজাহার নামীয় আসামি। সে বিষয়টিও আমরা তদন্ত করছি।

নিহতের ছোট বোন সুমি আক্তার বলেন, আপার বাড়িতেই ছিলাম। শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালেই আমি বাড়ি চলে আসি। আপা মাঝে মাঝেই বলতেন, মনির তাকে বিরক্ত করে। মনিরের প্রস্তাবে রাজি না হলে, তাকে মেরে ফেলবে। এজন্য আপা খুব ভয়ে ভয়ে থাকতেন। অনেক সময় নিজ বাড়ি ছেড়ে, অন্য বাড়িতেও ঘুমাতেন আমার বড় বোন।

নিহত শিশু ছাওদা জেনির চাচা স্কুল শিক্ষক আবু তালেব টুকু বলেন, ছোট ভাইয়ের এক ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলেটি মঠবাড়িয়ায় থাকে। আমার ভাই ঢাকার একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন। আর মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন ভাইয়ের বউ পাপিয়া আক্তার। মনিরের বিষয়টি আমরাও জানতাম। তবে ভয়ে কথা বলতে পারিনি। কারণ এর আগেও মনির ও তার ভাইয়া এলাকার অনেক মানুষকে অন্যায়ভাবে মেরেছে।

এদিকে পাপিয়ার স্বামী আবু জাফরও ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। দুটি বিষয় সামনে নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন পাপিয়া আক্তার (৩৮) ও তার মেয়ে ছাওদা জেনি (০৫)। আহত অবস্থায় জেনিকে তার চাচা আবু তালেব টুকুর বাড়িতে নেওয়া হয় এবং সেখানেই সে মারা যায়। পাপিয়া আক্তারকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যার স্বীকার পাপিয়া আক্তার উত্তর রাজাপুর গ্রামের আবু জাফরের স্ত্রী এবং ধানসাগর এলাকার মো. আব্দুল হোসেন খলিফার মেয়ে। জেনি পাপিয়া আক্তার ও আবু জাফর দম্পতির মেয়ে। তাদের একটি ছেলে রয়েছে, সে মঠবাড়িয়ায় থাকে।

** বাগেরহাটে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।