নাটোর: নাটোরের সিংড়ায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের গণশুনানী অনুষ্ঠানে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন এলাকার প্রায় অর্ধশত মানুষ।
এ ঘটনার একদিনের মাথায় তাকে সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ কর্মকতা বা সদস্যকে কোনো স্থান থেকে প্রত্যাহার, বদলি অথবা সংযুক্তি করার প্রক্রিয়াটা একটি রুটিন ওয়ার্ক। তাই সিংড়ার থানার ওসিকে প্রত্যাহার এবং তা বাতিল করার বিষয়টিও ছিল নিয়মিত রুটিন ওয়ার্কের একটি অংশ। তবে সিংড়ার গণশুনানীতে ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
গত রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে নাটোরের সিংড়া উপজেলার কোর্ট মাঠে স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা সমস্যার সমাধানে গণশুনানী করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় অর্ধশত ভুক্তভোগী চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়া, চুরি, জমি দখল, মাদকের রমরমা ব্যবসা, সন্ত্রাসীদের হুমকিসহ নানা বিষয়ে প্রতিকার চাইতে থানায় গেলেও ওসির সহযোগিতা পান না বলে অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা না করার বিষয় এড়িয়ে ওসি মিজানুর রহমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীকে আইনের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা না করায় প্রতিমন্ত্রী ওসি মিজানুর রহমানের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ করা হয়। ওসি মিজানুর রহমানের কর্মকাণ্ড নিয়ে সিংড়ায় ‘টক অব দ্য টাউনে’ পরিণত হয়।
এর আগে ২০২২ সালের ২৩ জুন বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার ওসি থাকার সময়ে মিজানুর রহমানসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি ও তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা করেছিলেন হানযালা নামে এক ব্যবসায়ী।
এ বিষয়ে জানতে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
এফআর