কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাতি, অপহরণ, মানবপাচার, মাদকপাচার, ধর্ষণসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত রাসেল বাহিনীর প্রধান রাসেলসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ সময় তাদের আস্তানা থেকে দেশীয় তৈরি ৬ টি লম্বা বন্দুক, ২টি কাটা বন্দুক, ১২টি কার্তুজ, ৭টি রাইফেলের গুলি ও ১টি গুলির খালি খোসা, ১ টি রামদা, ২০ হাজার ইয়াবা ও ৪টি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৬ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা বটতলীর গহীন পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী এলাকার মৃত শেখ হাবিবুর রহমানের ছেলে শেখ রাসেল (৩২), টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে মো. ছলিম (৩৮), একই এলাকার কবির আহমদের ছেলে নুরুল আমিন (৪২), নুরুল আমিনের ছেলে কায়সার উদ্দিন (২০), মৃত দিল মোহাম্মদের ছেলে মো. সাদেক হোসেন (৩০), টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জর পাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে সাহাব উদ্দিন (২৫) ও উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী এলাকার আবদুর শরিফের ছেলে নুরুল হাকিম (৪০)।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে রাসেলের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণ, মাদক, মারামারি, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৫টির অধিক মামলা, মো. ছলিমের বিরুদ্ধে ৩টি, নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে ৫টি, সাদেক হোসেনের বিরুদ্ধে ৬টি, সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ৩টি ও নুরুল হাকিমের বিরুদ্ধে ৩টির অধিক মামলা রয়েছে।
দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক বলেন, রাসেল সশস্ত্র একটি বাহিনী করে নানা অপরাধ করে আসছে। আগে রাসেল বাহিনীর সদস্যরা র্যাব, পুলিশ, বনবিভাগসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর কয়েক দফা হামলা ও গুলি বর্ষণ করেছিল। অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর র্যাব পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাহিনী প্রধান রাসেলসহ ৭ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর উখিয়ার ইউএনওর নেতৃত্বে অভিযানে তার আস্তানা থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলা করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান মেজর সাদিকুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৩,
এসবি/জেএইচ