বরগুনা: বরগুনার তালতলীতে বিরোধপূর্ণ জমির সালিশ বৈঠক চলাকালে প্রতিপক্ষের লোকজন দুই ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) ২টার দিকে বরগুনার তালতলী উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের হাড়িপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের হাড়িপাড়া গ্রামের আদম আলী পহলানের ছেলে নজরুল ইসলাম পহলান ও তার ভাই সাদ্দাম পহলানের সঙ্গে সৎ ভাই রশিদ পহলান, মস্তফা পহলান, আবুল হোসেন পহলান, চাচা আফজাল পহলান, চাচাতো ভাই স্বপন পহলান ও মিলন পহলানের ২২ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিক বার সালিশ বৈঠকও হয়েছে কিন্তু কোনো সুরহা হয়নি।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে বিরোধীয় এই জমি নিয়ে নলবুনিয়া গ্রামের ছত্তার হাওলাদারের বাড়িতে সালিশ বৈঠক চলছিল। ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য সাদ্দাম পহলান (২৮) বাড়ির বাহিরে যাওয়া মাত্র প্রতিপক্ষ সৎ ভাই রশিদ পহলান, মস্তফা পহলান, আবুল হোসেন পহলান, চাচা আফজাল পহলান, চাচাতো ভাই স্বপন পহলান ও মিলন পহলান ধরে নিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো রামদা দিয়ে কোপাতে থাকে। এ সময় তার ডাক চিৎকার শুনে বড় ভাই নজরুল ইসলাম পহলান (৩৮) রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তাকেও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙ্গে দেয় এবং রামদার কোপে বাম হাত এবং ১টি আঙ্গুলে গুরুতর জখম করে। গুরুতর আহত দুই ভাইকে আমতলীতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্ত দলের আফজাল পহলান পালটা অভিযোগ করে বলেন, নজরুল এবং তার ভাই সাদ্দাম আমার ছেলে বেল্লাল পহলান (৪০) ও রাসেদুল পহলানকে (৩৫) পিটিয়ে জখম করেছে। তাদেরকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমতলী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জায়েদ আলম ইরাম বলেন, সাদ্দাম পহলানের মাথায় ৪টি এবং হাতে কোপের ও তার ভাই নজরুল ইসলাম পহলানের হাতে কোপ এবং পিঠে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম খান বলেন, জমি নিয়ে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে আবইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৩
এসএম