কক্সবাজার: কক্সবাজারে হোটেল কক্ষে ডেকে নিয়ে জোর করে অনৈতিক কাজে বাধ্য করায় আওয়ামী লীগ নেতা সাইফ উদ্দিনকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আশরাফুল (১৯) নামে ওই মাদ্রাসাছাত্র।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে কক্সবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সেখানে এসপি বলেন, জোর করে তাকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার পর একই উদ্দেশে আবারও হোটেলে ডাকা হয়। পরে প্রতিশোধ নিতে আশরাফুল ওই আওয়ামী লীগ নেতা সাইফ উদ্দিনকে হত্যা করেন।
অভিযুক্ত আশরাফুলের বরাত দিয়ে এসপি আরও জানান, অনৈতিক কাজের শিকার হয়ে তিনি সাইফ উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন এবং বেডসিট ও প্যান্টের বেল্ট নিয়ে হাত বেঁধে বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
ঘাতক আশরাফুলের সঙ্গে ওই আওয়ামী লীগ নেতার এক সপ্তাহে আগে পরিচয় হয়। তারপর তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলতে থাকেন। কয়েকদিনের মধ্যে তারা ঘনিষ্ঠ হন। পরে গত ২০ আগস্ট সাইফ উদ্দিন আশরাফুলকে ফোন করে হোটেলে ডেকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেন। এ ঘটনার পরে আবারও যখন সাইফ উদ্দিন তাকে হোটেলে যেতে ডাকেন, তখন তিনি হত্যার পরিকল্পনা করে সেখানে যান।
এসপি বলেন আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনকে পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড়সংলগ্ন আবাসিক হোটেল সানমুনের দ্বিতীয় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষ থেকে দুই হাত বাঁধা অবস্থায় আ.লীগ নেতা সাইফুদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিন রাত ১১টার দিকে টেকনাফ হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির সামনে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে আশরাফুলকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার আশরাফুল ইসলাম কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী ইসলামপুর এলাকার মোহাম্মদ হাশেম মাঝির ছেলে। ওই এলাকার ওয়ামি একাডেমি নামে একটি মাদ্রাসার ছাত্র তিনি।
নিহত সাইফ উদ্দিন কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত আনসার কমান্ডার আবুল বশরের ছেলে। তিনি কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা ২৩ আগস্ট, ২০২৩
এসবি/এফআর