ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে ১৪টি পল্লী উন্নয়ন মহিলা সমিতির ১৩৫ জন সুবিধাভোগী সদস্যের ৬২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইয়াসমিন আক্তার নামে এক মাঠ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মিথুন মিস্ত্রি বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় ইয়াসমিনের নামে এ মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরেফিন ইসলাম শনিবার দুপুরে ইয়াসমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ইয়াসমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার।
জানা গেছে, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) মাঠ সংগঠক ইয়াসমিন আক্তার ১৪টি পল্লী উন্নয়ন মহিলা সমিতির ১৩৫ জন সুবিধাভোগী সদস্যের কাছ থেকে ৬২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এর মধ্যে ৭২ জনের চেক জালিয়াতি করে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তুলে নেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে টাকা আত্মসাতের পর থেকে তিনি নিজেও আত্মগোপনে চলে যান।
ইয়াসমিন আক্তার বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার মো. হাবিবুল্লার মেয়ে। তিনি উত্তর বৈদারাপুরের পাঁচ লাখ ২০ হাজার, চাঁদপুরার চার লাখ ২০ হাজার, বেরপাশার ৭০ হাজার, উত্তর নৈকাঠির তিন লাখ ৮০ হাজার, সারেঙ্গলের দুই লাখ ৪০ হাজার, প্রতাপমহলের ১০ লাখ ৮৫ হাজার, পোনাবালিয়ার পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার, হাজরাগাতির ছয় লাখ ৬০ হাজার, দেউলকাঠির দুই লাখ, উত্তর বৈদারাপুরের এক লাখ ৪০ হাজার, উত্তর গাবখানের এক লাখ ৮০ হাজার, দক্ষিণ গাবখানের চার লাখ ৪০ হাজার, পশ্চিম গাবখানের পাঁচ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে অনেকের কাছ থেকে ধার হিসেবে নেওয়া টাকাসহ প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ঝালকাঠি থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, টাকা আত্মসাতের মামলায় বিআরডিবির মাঠ কর্মী ইয়াসমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
এসআই