ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কতদূর এগুলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বাকি অংশ

 স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩
কতদূর এগুলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বাকি অংশ

ঢাকা: ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রথম চুক্তি সই এক যুগ পরে আলোর মুখ দেখছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। আজ (২ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

তবে পুরোটা নয় আংশিক।  

শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে এই এক্সপ্রেসওয়ে। ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার মোট দূরত্বের মধ্যে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের ১০ কিলোমিটার উদ্বোধন হল আজ।

প্রকল্পটি  এগিয়ে নেয়ার সুবিধার্থে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অংশে এয়ারপোর্ট থেকে বনানী-রেলস্টেশন পর্যন্ত। এ অংশের অগ্রগতি প্রায় ৯৮ ভাগ।

দ্বিতীয় অংশ বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার পর্যন্ত, এ অংশের বনানী থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন হচ্ছে। এ অংশের অগ্রগতি ৫৫ ভাগের বেশি।

তৃতীয় অংশের অগ্রগতি সবচেয়ে কম। মগবাজার থেকে চিটাগাং রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত তৃতীয় অংশের অগ্রগতি মাত্র ৫ ভাগ।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা বাকি অংশের কাজ পুরোদমে এগিয়ে নেবেন। ফলে তৃতীয় অংশের কাজের অগ্রগতি কম থাকলেও এখন থেকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলবে কাজ।

আগামী বছরের মধ্যেই বাকি অংশের উদ্বোধন সম্ভব বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। পুরো এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে উত্তরাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলো ঢাকার মূল সড়ক ব্যবহার না করেই দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যেতে পদ্মা সেতুগামী বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে সরাসরি ওঠে যেতে পারবে। অন্যরুটে দিয়ে যাবে চট্টগ্রাম ও সিলেটে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, যে উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছিল সেটির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সাময়িক খুলে দেওয়ার জন্য সুবিধা ও অসুবিধা দুটিই থাকবে।  

পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শামসুল হক বলেন, এখনকার বাস্তবতায় এই এক্সপ্রেসওয়ে পিক আওয়ারে সমাধান দিতে পারবে না। এই এক্সপ্রেসয়ের বেশি সুবিধা পাবে ব্যক্তিগত যান। ২০১৩ সালে যখন এটা হওয়ার কথা ছিল তখকার প্রেক্ষাপট এক রকম ছিল। আর এখন সেটা ভিন্ন রকম।  

প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার  বলেন, যে অংশটুকু উদ্বোধন হয়েছে সেখানে সবধরনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।  ৩ সেপ্টেম্বর ভোর ৬ টা থেকে যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হবে একইসঙ্গে বাকি অংশের কাজও চলছে। সবমিলিয়ে ৬৫ শতাংশের উপরে কাজ হয়েছে। ঢাকা শহরের মধ্যে দিয়ে এমন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা থাকে। তবে সেসব সমস্যা কাটিয়েই কাজ হচ্ছে।

এদিকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে  বলেছেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও এখন পর্যন্ত ৬৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যেদিকে উদ্বোধন হচ্ছে না সেদিকেও অনেক কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী বছর নাগাদ পুরো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু করতে পারবো।  

প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮৯৪০ কোটি টাকা যার ২৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার ভিজিএফ হিসেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। তবে  ভূমি অধিগ্রহণ, নকশা বদল, অর্থ সংস্থানের জটিলতায় ৪ বার সময় বৃদ্ধির ফলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকায়।

বাংলাদেশ সময়ঃ ১৬৫২,  সেপ্টেম্বর ০২,২০২৩   
এনবি/এমএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।