ঢাকা: শরীয়তপুর জেলার পালং থানা এলাকায় চাঞ্চল্যকর সাত্তার ফকির হত্যা মামলার দীর্ঘদিন পলাতক প্রধান আসামি দেলোয়ার ওরফে দিলু মাদবর ও তার ২ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর যাত্রবাড়ী ও চকবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন-দেলোয়ার ওরফে দিলু মাদবর (৩৮), মিলন ফকির (২৮), ও আরিফ ফকির (২৫)।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. ফরিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে র্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সায়দাবাদ বাস-স্ট্যান্ড এলাকা ও চকবাজার থানার ইমামগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে শরীয়তপুর জেলার পালং থানায় চাঞ্চল্যকর আব্দুর সাত্তার ফকিরকে নৃশংসভাবে হত্যা মামলার দীর্ঘদিন পলাতক প্রধান আসামি ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, ওই মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার আসামিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
র্যাব জানায়, ৯ জুন রাত সাড়ে ১০টায় ভিকটিম সাত্তার ফকির প্রস্রাব করার জন্য তার বাসা থেকে বেরিয়ে বাড়ির পেছনে যায়। এ সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা দিলু মাদবর তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে সাত্তারের ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে। এ সময় তাদের কাছে থাকা লোহার রড, টর্চ লাইট, লাঠি-সোটা ইত্যাদি দিয়ে সাত্তারকে মারধর করে এবং একপর্যায়ে সাত্তারের গলা চেপে ধরে। সাত্তারের চিৎকারে তার পরিবারের লোকজন বের হলে তাদেরও চড়-থাপ্পর মেরে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে। সাত্তারকে মুমূর্ষু অবস্থায় মাটিতে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় হামলাকারীরা। পরবর্তীতে সাত্তারের পরিবারের লোকজন স্থানীয় লোকজনদের সহযোগিতায় সাত্তারকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই হত্যাকাণ্ডের পর সাত্তারের স্ত্রী শরীয়তপুর জেলার পালং মডেল (সদর) থানায় গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা পর থেকে আসামিরা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও চকবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩
এমএমআই/জেএইচ