ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পঞ্চগড়ের সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩
পঞ্চগড়ের সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত 

পঞ্চগড়: পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন মোমিনপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নুর ইসলাম (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মোমিনপাড়া সীমান্তের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৭৫২/২ এস সাব পিলারের ১০০ গজ দূরে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়।

এর আগে গত বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে সীমান্ত এলাকায় পর পর পাঁচটি গুলির শব্দ পান স্থানীয়রা।

ঘটনার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফ।

জানা যায়, বুধবার রাতে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে মোমিনপাড়া সীমান্ত দিয়ে গরু নিয়ে বাংলাদেশে ফিরছিলেন নুর ইসলাম। এসময় ভারতের বেরুবাড়ি বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে মোমিনপাড়া সীমান্তের নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির জমিতে নুর ইসলামের মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা নাজমুল হক ও শাকিল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রাতে আমরা খাওয়া শেষে ঘুমাতে গেলে রাত ১১টার দিকে সীমান্ত থেকে পাঁচটি গুলির শব্দ পাই। একই সঙ্গে বিএসএফের চিৎকারের শব্দ পাওয়া যায়। পরে রাতেই বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এদিকে সকালে স্থানীয়রা চা বাগানের পাশে মরদেহটি দেখতে পান। তবে যে স্থানে মরদেহটি পাওয়া গেছে, সেখানে কোনো রক্তের দাগ নেই। পিলারের পাশে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। মূলত সেখানে হত্যা করে সকালের দিকে মরদেহটি এখানে ফেলা হয়।  

এদিকে ঘটনার পর পর সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে কী আলোচনা হয়, তা বিস্তারিত জানা যায়নি। ঘটনার পর থেকে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান হাকিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নিহত নুর ইসলাম বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের বকশীগঞ্জ এলাকার আব্দুর জব্বারের ছেলে।

হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাঈদ নুর-ই আলম বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ধারণা করা হচ্ছে, গরু আনতে গিয়ে হত্যার শিকার হলেন তিনি। ঘটনার পর সকালে ঘাগড়া বিওপির সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে একটি গরু জব্দ করেছে।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের বাম গালে ও মাথার পেছনে গুলির দাগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।