ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভোলার মেঘনায় ভয়াবহ ভাঙন, সিসি ব্লকে ধস

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩
ভোলার মেঘনায় ভয়াবহ ভাঙন, সিসি ব্লকে ধস

ভোলা: উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢল, ডুবোচর আর নদীর গতিপথ পরিবর্তনে হঠাৎ করেই ভোলার ইলিশা পয়েন্ট দিয়ে মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর ফলে ধসে পড়ছে সিসি ব্লক।

আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদী পাড়ের অধিবাসীরা।

ভোলা সদরের প্রাচীনতম জনপদ পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন। এটি এখন মেঘনার ভাঙনের মুখে। তীব্র স্রোতে বড় বড় ফাটল সৃষ্টি হয়ে সিসি ব্লক হারিয়ে যাচ্ছে মেঘনার বুকে।  হুমকির মুখে পড়েছে তিনটি লঞ্চঘাট, একটি ফেরিঘাটসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, স্রোতের কারণে উত্তাল নদী, ফলে তীর সংরক্ষণ কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।  

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন ও সাদ্দাম বলেন, নদী যেভাবে ভাঙছে এতে আমরা অনেকটা আতঙ্কিত। কারণ, স্রোতের তীব্রতা বেশি থাকার ফলে নদীর তীরের সিসি ব্লক বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইলিশা ইউনিয়নের তালতলী লঞ্চঘাট থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত ৭০ মিটার এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি এসব পয়েন্ট দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল।

এদিকে, ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

ভোলা পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মু. হাসানুজ্জামান বলেন, ভাঙন ঠেকাতে ৭০ মিটার এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ লাখ টাকা। ভাঙন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কাজ চলমান থাকবে।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের দিকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকায় ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর তীর সংরক্ষণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাজ শুরু হয়ে তা ২০২১ সালে শেষ হয়। সিসি ব্লক দিয়ে ভাঙন ঠেকাতে কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কিন্তু ২ বছরের মাথায় সেই বাঁধে ফের ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।