বগুড়া: বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৮) ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবককে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করেছে।
শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
ভুক্তভোগী ও শিক্ষার্থী বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের নান্দুরা ফাজিল মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
আটক সাইফুল ইসলাম বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের নান্দুরা আকইল পাড়ার সাইদুর রহমানের ছেলে। পেশায় তিনি দিনমজুর।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (০৮ সেপ্টেম্বর) ছাত্রীটির বাবা-মা তার নানা বাড়িতে বেড়াতে যায়। এ কারণে বাড়িতে সে একা ছিলেন। দুপুরে জুমার নামাজের সময় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় অভিযুক্ত ওই যুবক তাদের বাড়িতে ঢোকে। এ সময় ওই ছাত্রী বাড়িতে একা রয়েছে জানতে পেরে তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ছাত্রীটি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে পুড়িয়ে হত্যার উদ্দেশে বাড়ির বারান্দায় থাকা চটের বস্তাসহ বেশ কিছু কাপড় ওই ছাত্রীর শরীরের ওপর রেখে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। আগুনের তাপে জ্ঞান ফিরলে সে চিৎকার শুরু করে। পরে স্থানীয় লোকজন বাড়িতে ঢুকে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। এছাড়া ঘটনা জানার পর এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে সাইফুলকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে থানা হেফাজতে নেয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা (মাসুদুর রহমান) জানান, মেয়ের এমন দুঃসংবাদ পেয়ে তারা সরাসরি হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে গেলে চিকিৎসকরা জানান, আগুনে তার হাত-পাসহ শরীরের অধিকাংশ জায়গা পুড়ে গেছে। বগুড়ায় তার চিকিৎসা সম্ভব না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার দুপুরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান সেখানকার চিকিৎসকরা।
শিবগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক জিল্লুর রহমান জানান, শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামকে ওইদিন বিকেলেই থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে আজ শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা শুক্রবার রাতেই থানায় মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৩
আরএ