ঢাকা: ভারতীয় অর্থায়নে তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প আখাউড়া থেকে আগরতলা এবং খুলনা-মোংলা রেল সংযোগ প্রকল্প।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলতি ভারত সফরেই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উদ্বোধন করার কথা ছিল আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ।
আর কাজ শেষ না হওয়ায় আগেই উদ্বোধন পিছিয়েছে খুলনা থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ প্রকল্প।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) আখাউড়া-আগরতলা প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিঞা তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এখন এটি উদ্বোধন হচ্ছে না।
কবে উদ্বোধন হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, এখনও তারিখ নির্ধারণ হয়নি। সরকার থেকে যখন সময় দেওয়া হবে তখন বলা যাবে। আপাতত হচ্ছে না।
সম্প্রতি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জি-২০ সম্মেলনে ভারত সফরের সময় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সময় মিলিয়ে এ প্রকল্পের উদ্বোধন হতে পারে।
এর আগে, গত ২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাজ পরিদর্শন করে বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি প্রতিনিধিদল। নেতৃত্ব দেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. ইয়াছিন।
সে সময় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রেলপথটি উদ্বোধনের কথা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে সড়কপথের পাশাপাশি রেলপথেও চট্টগ্রাম বন্দর এবং রাজধানী থেকে পণ্য যাবে সেভেন সিস্টার্স হিসেবে পরিচিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে।
গত ২২ আগস্ট থেকে এ পথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করেছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর মধ্যে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ অংশে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ করছে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। দেড় বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারিসহ নানা সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে বাংলাদেশ অংশে রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্পের ১৬টি সেতু ও কালভার্টের কাজও শেষ। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৯৫ ভাগ। বাংলাদেশ অংশের সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২৪১ কোটি টাকা।
এর আগে খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণের প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামানও গণমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ করতে ঠিকাদারকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা আছে।
এ রেলপথের নিম্নাঞ্চলের কিছু জায়গায় দেবে গেছে। ফলে রেলপথকে সমান্তরাল ও চলাচল উপযোগী করতে লাগতে পারে অতিরিক্ত দেড় থেকে দুই মাস সময়। এমনটিই জানিয়েছেন এ প্রকল্পের তদারকিতে থাকা বাংলাদেশ রেলওয়ের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
এনবি/জেএইচ