ঝালকাঠি: ঝালকাঠির নলছিটিতে বেড়ে গেছে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত। সড়ক ও বিভিন্ন স্থানের লোকালয়ে কুকুরের অতিরিক্ত আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরছেন পথচারী ও বাসিন্দারা।
এদের মধ্যে কিছু কুকুর রয়েছে রোগাক্রান্ত। যেগুলোর মাধ্যমে রোগ মানুষের শরীরে বিস্তার করতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
অপরদিকে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিগত কয়েক মাস ধরে সরবরাহ নেই কুকুরে কামড়ের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ভ্যাকসিন, জানিয়েছেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শিউলি পারভীন।
নলছিটিতে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালক মনির হোসেন জানান, সড়কের মাঝখানে একসঙ্গে ১০/১২টি কুকুর ঘুরে বেড়ায়। এতে অনেক সময় মোটরসাইকেল চালাতে বেগ পেতে হয়। আবার হর্ন দিলে তারা এদিক সেদিক দৌড় দেয় তাতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। এমনিতেই আমাদের ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালকদের একটা আতঙ্ক থাকে কুকুর নিয়ে। এর আগে অনেক চালক কুকুরের কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
পৌর এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন আহমেদ বলেন, বিগত কয়েক মাস ধরে নলছিটিতে হঠাৎ করে শহরে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এসব কুকুর দলবেঁধে বিভিন্ন সড়কে ঘোরাফেরা করে ফলে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে চিন্তায় থাকেন। কর্তৃপক্ষের উচিত এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া। আমরা আগে দেখতাম বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে বেওয়ারিশ কুকুর ও রোগাক্রান্ত কুকুর মেরে মাটিচাপা দেওয়া হতো কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সেটা আর দেখছি না।
এ ব্যাপারে নলছিটি পৌর মেয়র আ. ওয়াহেদ খান বলেন, আমাদের কুকুর নিধনের কোনো নির্দেশনা নেই। তাই পৌর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কিছু করতে পারবে না। তবে যেহেতু সাধারণ লোকজনের সমস্যা হচ্ছে তাই বিষয়টা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
আরএ