ঢাকা: বর্ষা এলে নদী-নালা খাল বিল সব পানিতে থৈ-থৈ করে। তাইতো জেলে ও শৌখিন মানুষদের পাল্লা দিয়ে চলে মাছ শিকার।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর আশপাশের এলাকাগুলোতে যেসব এলাকা নিচু, যেখানে বর্ষার পানি জমে থাকে সেসব এলাকাতেই শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে জেলেরা মাছ শিকার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। শিশু কিশোররা ছোট জাল, কাপড়ের টুকরো নিয়ে মাছ ধরতে নদীতে নামছে তারা। এ যেন এক উৎসবের আমেজ।
বর্ষাকালের শুরু থেকেই গ্রামাঞ্চলে বুচনা, বেগা, ডুবা ফাঁদ, দারকি, উন্টা, তেপাই, ধীল, চেং, চাঁই, চান্দি বাইর, বানা, পলো, রাবনি, চারো ইত্যাদির মাধ্যমে মাছ ধরে থাকেন তারা। এছাড়া ভাসা জাল, ঝাঁকি জাল, ধর্মজাল, ফলিং নেট দিয়েও মাছ ধরতে দেখা যায়।
রূপগঞ্জের মাঝিনা এলাকার কাঠমিস্ত্রি আলী হোসেন। তিনি জানান, বর্ষা এলে কাজের ফাঁকে ফাঁকেই মাছ শিকার করি। কাঠমিস্ত্রি হলেও বর্ষা এলেই আমি মাছ শিকার করি একটু বাড়তি আয়ের জন্য। প্রতিদিন আমার জালে তেলাপিয়া পুঁটি, বোয়াল, চিতল, চিংড়ি ধরা পরে। আর এই মাছ প্রতিদিন পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে হাজার বারোশো টাকা বিক্রি করে থাকি।
অপরদিকে, ডেমরা থানার পিছনে দেখা মিলল বিশাল এক পুকুরে কাচপুর থেকে আসা মীর সোহাগ ও সাইফুল ১ হাজার টাকা টিকিট করে মাছ শিকারে ব্যস্ত। মীর সোহাগ বাংলানিউজকে জানায়, আমরা মূলত ব্যবসায়ী মাছ শিকার করা আমাদের পেশা নয়। শখ করেই এখানে মাছ ধরতে এসেছি মাছ কতটুকু ধরতে পারবো জানি না, আমাদের শখ ছিল তাই ১ হাজার টাকায় টিকিট কিনে মাছ ধরছি।
বর্ষা মৌসুমে যেসব পদ্ধতিতে মাছ শিকার করেন- ঝাঁকি জাল, টানা জাল, ঠেলা জাল, পেতে রাখা জাল, চাঁই, বড়শিসহ আরও নাম না জানা অনেক পদ্ধতি ব্যবহার করে মাছ শিকার করেন স্থানীয় জেলেরা। এই মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চমূল্যে। রাজধানী শহর থেকে ঘুরতে যাওয়া অনেক পর্যটকেরাই মাছের বড় ক্রেতা। নদী বা খাল বিল থেকে ধরা এসব দেশি মাছ কিনতে অনেকে পছন্দ করে তাই বাড়তি দামে মাছ কিনে নিয়ে যান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
এসএম