ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফেনীতে পুলিশ দম্পতিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
ফেনীতে পুলিশ দম্পতিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ৩

ফেনী: ফেনী মহিপাল থেকে এক পুলিশ সদস্য ও তার স্ত্রীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনার একমাসের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- বরগুনা জেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের ছোট তালতলী এলাকার লতিফ মিয়ার ছেলে মো. চাঁন মিয়া (৫০), বড়বগি ইউনিয়নের রিতুল বাড়িয়া এলাকার জব্বার হাওলাদারের ছেলে হেকিম হাওলাদার (৪০) এবং বরিশালের বাবুগঞ্জ থানার বোদারপুর ইউনিয়নের জামাল হোসেন খাঁনের ছেলে মকিবুল হাসান (৩০)।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) জাকির হাসান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা, ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।

পুলিশ সুপার জানান, গত ২৮ আগস্ট ওই দম্পতি চট্টগ্রাম যেতে মহিপালে গাড়ির জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় এ চক্রের সদস্যরা কৌশলে অজ্ঞাতনামা একটি মাইক্রোবাসে ওঠায়। পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপোল পৌঁছানোর পর তাদের গামছা দিয়ে চোখ মুখ বেঁধে জিম্মি করে তাদের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। তখন এ দম্পতির কাছ থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। তাৎক্ষণিক পকেটে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা, ৪২ হাজার টাকা মূল্যের দুটি স্যামসাং ও একটি নকিয়া মোবাইল ফোন, ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের একজোড়া কানের দুল হাতিয়ে নিয়ে যায়।  

একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে আরও এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের নির্যাতনের মুখে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকা এনে দেওয়ার পর রাত ১০টার দিকে লালপোল এলাকায় দুইজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর পথচারীদের সহায়তায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে তারা ভর্তি হন।

এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যের স্ত্রী হনুফা বেগম বাদী হয়ে ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় তিনজনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
এসএইচডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।