সিলেট: ভিসানীতি নিয়ে সরকার কোনো চাপে নেই মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেছেন, ভিসানীতির কারণে শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কেননা,বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থী নিতে বাইরের দেশগুলো খুব আগ্রহী।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সিলেট জেলা প্রধান অতিথি হিসেবে স্টেডিয়ামে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ভিসানীতি কোনো প্রভাব ফেলবে না। সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে। আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে। নির্বাচন কমিশন সেই নির্বাচন করবে। আর সংবিধান অনুযায়ী সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, দেশকে মায়ের মতো ভালোবাসতে হবে। সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। বেলা ১১টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনকালে দৃষ্টিনন্দন ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এ ক্রীড়া উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
পাঁচদিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ১ অক্টোবর সিলেট আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার এ ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সবগুলো ইভেন্ট মিলিয়ে প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণকারী ফুটবলে প্রায় দুই লাখ। কাবাডি ও হ্যান্ডবলে প্রায় সত্তর হাজার অংশগ্রহণ করে। সাঁতারে প্রায় ৪৫ হাজার ও দাবাতে ১৫ হাজার অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে তিনটি ইভেন্টে (ফুটবল, কাবাডি, হ্যান্ডবল) ৬ সহসাধিক চৌকস-মেধাবী খেলোয়াড় বাছাই করা হচ্ছে।
অনূর্ধ্ব-১৭ বছরের এ খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ছাত্র এবং ৩ হাজার ছাত্রী। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশব্যাপী এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
প্রতিযোগিতাটি প্রথম স্কুল/মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে শুরু হয়, তারপর প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে টিম নিয়ে (একক/দলীয়) উপজেলা এবং মহানগরীর ২০টি থানা পর্যায়ে বিজয়ী দল জেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে।
জেলা পর্যায়ের দলগুলো ৯টি উপ-অঞ্চলে ভাগ হয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করে। উপ-অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন দলগুলো ৪টি অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে পদ্মা, গোলাপ, চাঁপা ও বকুল -এ ৪টি অঞ্চলের বিজয়ী দল সিলেট নগরের বিভিন্ন ভেন্যুতে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হবে।
প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে বিভিন্ন ইভেন্টে মোট ৪৯৬ জন খেলোয়াড় জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের খেলাগুলো আজ থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সিলেট নগরে বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
এনইউ/জেএইচ