নীলফামারী: নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের মসজিদের ভেতরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে তরিকুল ইসলাম (৬০) ও নূরন্নবী দুলু (৫০) নামের দুই মুসল্লি আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জোহরের নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে।
তরিকুল জেলা শহরের জুম্মাপাড়ার মৃত সৈয়দ ইবাদত ইসলামের ছেলে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ও তার ছেলে সজলকে (২০) আটক করেছে পুলিশ।
জাহাঙ্গীর আলম জেলা শহরের জুম্মাপাড়ার আব্দুল লতিফ আলীর ছেলে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই আলমগীর (৪০) পলাতক রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু তালহা ও মোয়াজ্জেম মাওলানা সাব্বির রহমানকে নিয়ে মুসল্লিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পক্ষে বিপক্ষে মতবিরোধ চলছিল। এর জেরে শনিবার জোহরের নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরে মুসল্লি তরিকুলকে আটকে রাখেন আলমগীর হোসেন। এ সময় আলমগীরের বড় ভাই জাহাঙ্গীর ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেটে আঘাত করলে তরিকুল গুরুতর আহত হয়। পরে নূরন্নবী দুলু নামে এক মুসল্লি তরিকুলকে রক্ষায় এগিয়ে এলে জাহাঙ্গীরের ছেলে সজলের ধরালো অস্ত্রের আঘাতে তিনিও আহত হন। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইফনুল আবেদীন।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাবা এবং ছেলেকে আটক করা হয়েছে।
আলমগীর নামে একজনকে আটকের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২৩
এসএম