চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কিস্তির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মর্জিনা খাতুন (৩৪) নামে এক নারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার বাবা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় মর্জিনা খাতুনের মেয়ে রোকসানা খাতুনকে (১৩) কুপিয়ে আহত করে নানা আজিলুল হক।
রোববার (১ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে শনিবার রাত ২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মর্জিনা খাতুন দামুড়হুদা উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হকের মেয়ে। আহত রোকসানা খাতুনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, স্বামী পরিত্যক্তা মর্জিনা খাতুন বাবার বাড়িতেই বসবাস করতেন। তার দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। এনজিও থেকে যৌথভাবে ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করেন আজিজুল হক ও তার মেয়ে মর্জিনা খাতুন। শনিবার রাতে ঋণের কিস্তির টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
পরে রাত ২টার দিকে ঘুম থেকে ডেকে মর্জিনা খাতুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন বাবা আজিজুল হক। মাকে ঠেকাতে এগিয়ে আসলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন শিশু রোকসানা খাতুন। পরে স্থানীয়রা মর্জিনা ও তার মেয়েকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মর্জিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান মর্জিনা খাতুন। আহত রোকসানাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, মর্জিনা খাতুনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর পালিয়ে গেছে ঘাতক আজিজুল হক। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৩
এসএম