ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতা দেখিয়েছেন: তথ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২৩
খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতা দেখিয়েছেন: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেও প্রধানমন্ত্রী তার সাজা স্থগিত করে বাইরে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতা দেখিয়েছেন উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়া রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এ মহানুভবতা দেখাতেন না।

বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র, টিভি ও ডিজিটাল মাধ্যম পেশাদার কনফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার বাসার সামনে গেলেই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন, ১৫ আগস্টে ভুয়া জন্মদিন পালন করেন। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা নিয়ে হাস্যরস করেছেন। তিনি যে, এ সহানুভূতি দেখাতেন না এটা স্পষ্ট। যদিও সেই গ্রেনেড হামলার জন্য তারাই ইন্ধন যুগিয়েছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কারাগারে থাকার কথা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাকে সহানুভূতি দেখিয়ে তার সাজা স্থগিত করে বাইরে থেকেই চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার তো বাইরে থাকার কথা নয়। বাইরে চিকিৎসারত অবস্থায় সেখানে তার পরিবারের অনেকেই দেখা করেন, আত্মীয়-স্বজন এমনকি দলীয় নেতারাও সাক্ষাৎ করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে যে কারাগারের বাইরে থাকতে দেওয়া হয়েছে সেকারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের উচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো। মির্জা ফখরুল ইসলামেরও উচিত প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো। প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন সেটা বোধ হয় তারা টের পাচ্ছেন না। তারা তখনি টের পাবেন সুযোগটি বাতিল হলে।

সাধারণ মানুষের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে বিএনপির শীর্ষ নেতারা তাদের অধীনস্ত নেতাকর্মীদের মাঠে নামিয়ে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যেখানে সমাবেশ করে সেখানেই নিজেরা মারামারি করে। চট্টগ্রামে তারা দুই গ্রুপ মারামারি করে নিজেদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। বিভিন্ন জায়গায় এসব ঘটনা ঘটছে। বিএনপি যে সমাবেশের মাধ্যমে সরকারকে টেনে নামানোর কথা বলছে, পদত্যাগের কথা বলা হচ্ছে সেসব সমাবেশেও সরকার সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে। তাদের সমাবেশে যেন বাইরে থেকে কোনো বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হয়। কিন্তু তবুও তারা মাঝে মধ্যে পুলিশের ওপর চটে বসে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা আহ্বান জানাচ্ছে তাদের সব নেতাকর্মীদের মাঠে নামার জন্য। কিন্তু সব নেতাকর্মী কি মাঠে নেমেছে? বিভিন্ন জায়গায় তারা যে লং মার্চ করেছে সেখানে কি জনসমাগম হয়েছে? কর্মী সমাগম হয়েছে? সেই উপলব্ধি বিএনপি নেতাকর্মীদের হওয়া উচিত।

দেশের বাইরে থেকে রেমিট্যান্স নিয়ে একটি ষড়যন্ত্রের কথা শোনা যাচ্ছে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশে বিএনপি বিভিন্ন অ্যাক্টিভিস্ট এবং তাদের পেইড এজেন্টরা নানান গুজব ছড়াচ্ছে। কয়েকদিন আগে গুজব ছড়িয়ে ছিল ব্যাংকে টাকা নাই। তখন সবাই হুড়মুড় করে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ফেলার হিড়িক শুরু হয়েছিল। এ ধরনের নানান গুজব ছড়াচ্ছে। এগুলো সরকারের বিরুদ্ধে নয় বরং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। সেই গুজব নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। কিন্তু এসব গুজব ছড়িয়ে খুব একটা লাভ হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২৩
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।