ঢাকা: দেশি ও আন্তর্জাতিকভাবে ড. ইউনূসকে হেয় প্রতিপন্ন করতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা করা হয়েছে। কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা করা হয়েছে, এই মামলার কোন ভিত্তি নেই।
বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে দুদক কার্যালয়ে ঢোকেন ড. ইউনূস। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১১টার দিকে দুদক কার্যালয়ের সামনে এসব কথা তুলে ধরেন তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি ডক্টর ইউনূস সাহেবের আইনজীবী হিসেবে ভেতরে (দুদক কার্যালয়ে) গিয়েছিলাম এবং আমি আইনের সমস্ত ব্যাখ্যা ওইখানে দিয়েছি। উনারা বলেছে ওই সমঝোতা চুক্তিটি জাল। আমি বলেছি আপনারা জাল বলতে পারেন না কারণ দুই পক্ষের সমঝোতা যখন হয় তখন আর সেটা জাল থাকে না এবং এটা হাইকোর্টের অনুমোদন পাওয়া সুতরাং এটা জাল না। ওই চুক্তিতে ছিল শ্রমিকদের সাথে ৭ দিনের মধ্যে একাউন্ট করতে হবে। সাত দিনের মধ্যে আমরা একাউন্ট করেছি। হ্যা আমরা টেলিফোনে অনুমতি নিয়েছি কারণ সবাই এক সঙ্গে থাকে না। আমরা ৯ তারিখের জুম মিটিং এর মাধ্যমে সবার অনুমতি নিয়েছি। দুদক বলেছে আপনারা অনুমতিটা পরে নিয়েছেন আমি বলেছি দেরি হওয়ার ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে এটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।
ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, উনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দুদক থেকে নোটিশ পাওয়ার পর জবাব দিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন।
তিনি আরো বলেন, এই মামলা অবশ্যই ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিক অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে অর্থ আত্মসাৎ মামলার বিষয়ে কথা বলতে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে আসেন।
গত বুধবার (৫ অক্টোবর) গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২৩
এসএমএকে/এমএম