ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সালথায় ঘূর্ণিঝড়: সব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে হোসনেয়ারা

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৩
সালথায় ঘূর্ণিঝড়: সব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে হোসনেয়ারা

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে সব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন হোসনেয়ারা বেগম (৪৫) নামে এক নারী।  

গত বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে ঘূর্ণিঝড় কেড়ে নিয়েছে হোসেনয়ারার মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু।

উপায়ন্তর না পেয়ে খোলা আকাশের নিচেই রাত্রি যাপন করছেন তিনি।  

হোসনেয়ারা সালথার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতুন্দী চরপাড়া গ্রামের মৃত রায়েব আলী মোল্লার স্ত্রী। ঝড়ের তাণ্ডবে নারকেল গাছ তার ঘরের ওপর পড়লে তিনি দৌড়ে বের হওয়ার সময় তার বাঁ হাতে প্রচণ্ড ব্যথা পান। ঝড়ে ঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে ঘরের প্রায় সব মালামাল ও খাবার নষ্ট হয়ে যায়।

হোসেনয়ারা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমার স্বামী ছোট ছোট চারটি সন্তান রেখে অনেক আগে মারা গেছেন। অনেক কষ্ট করে মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চলে আমার। গত ৫ অক্টোবর বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ে আমার ঘরের ওপর নারকেল গাছ পরে আমাদের থাকার ঘর ভেঙে গেছে। এখন নিরুপায় হয়ে খোলা আকাশের নিচেই রাত কাটাচ্ছি। ভাঙা ঘর মেরামত করার মতো টাকা আমার কাছে নেই।  

এ বিষয়ে বল্লভদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিন বলেন, গ্রামের একপাশে হওয়ায় ওই নারীর বাড়ি কারও চোখে পড়েনি। বিষয়টি আমি জানতে পেরে খোঁজ খবর নিয়েছি। হোসনেয়ারাকে ঘর তোলার জন্য সহায়তা করা হবে।

 

এ ব্যাপারে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বল্লভদী ইউপি চেয়ারম্যানের ও গ্রাম পুলিশের সঙ্গে কথা বলে যাঁচাই করে বিস্তারিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

গত ০৫ অক্টোবর ফরিদপুরের সালথায় ভারী বর্ষণের মধ্যে মাত্র তিন মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে ২৫টি কৃষক পরিবারের অন্তত ৩০টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ও তার ছিঁড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পুরো একটি গ্রামের। ফলে সন্ধ্যার পুরো গ্রাম অন্ধকার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতুন্দী গ্রামে ভয়াবহ ঝড়ে এ ক্ষয়ক্ষতি হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।