সিরাজগঞ্জ: রোগীর বেডের নিচে তেলাপোকা, অপরিচ্ছন্ন টয়লেট, অপরিষ্কার মেঝেতে যত্রতত্র আবর্জনা-এটাই সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের চিত্র। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগের শেষ নেই এই হাসপাতালকে নিয়ে।
এমন অবস্থায় নিজেই হাসপাতাল পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না।
সোমবার (৯ অক্টোবর) ওই হাসপাতালের সভাপতি হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে নোংরা পরিবেশ দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তাৎক্ষণিক পরিষ্কার করা শুরু করেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফরিদুল ইসলাম বলেন, গত জুলাই মাস থেকে আউট সোর্সিংয়ের জনবল শূন্য। আমাদের হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদ ৩৯টি। কিন্তু বর্তমানে রয়েছে ২১ জন। তাছাড়া দীর্ঘদিন আউটসোর্সিং জনবল বা পরিচ্ছন্নতা কর্মী না থাকার কারণে হাসপাতালে পরিবেশ নোংরা হয়ে রয়েছে। বিষয়টি এমপি মহোদয়ের নজরে আসায় তিনি নিজেই হাসপাতাল পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি বলেন, আমি সপ্তাহে ২/৩ বার রোগী দেখতে যাই। আমি দেখি প্রত্যেকটা বিছানার নিচে তেলাপোকা। টয়লেটগুলো দেখি অপরিষ্কার, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত ওয়ার্ডের টয়লেট দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এটা মনিটরিং না করলে হবে না। যারা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগের কাজ পেয়েছে তারা তদারকি করে না। আমি সভাপতি হিসেবে মনে করছি প্রধানমন্ত্রী রোগীদের জন্য সে সেবা দিয়েছেন সিরাজগঞ্জের রোগীরা সেটা পাচ্ছে না।
আজকে থেকে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হলো। আজকে তিন ও চারতলা পরিষ্কার করা হয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে নতুন পুরাতন সবগুলো ওয়ার্ড পরিষ্কার করা হবে। হাসপাতালের সুপার ও আরএমওকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা এটা পরিষ্কার করবেন। এক দেড় সপ্তাহ পর পর আমি নিজে এটা মনিটরিং করবো। রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২৩
এমএম