ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, খনিজ ও জীবাশ্ম জ্বালানি মাত্রাতিরিক্ত উত্তোলন করায় অর্থনীতি এবং জীবন-জীবিকায় ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত নবম জি-টোয়েন্টি পার্লামেন্টারি স্পিকারস সামিট (পি-টোয়েন্টি) সম্মেলনের ‘লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় স্পিকার এ কথা বলেন।
সেখানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, খনিজ, জীবাশ্ম জ্বালানি ও অন্যান্য ভূ-অভ্যন্তরীণ সম্পদ মাত্রার চাইতে অতিরিক্ত উত্তোলনের কারণে স্থল ও জলজ বৈচিত্র্য ব্যাহত হচ্ছে। এর পাশাপাশি অর্থনীতি ও জীবন-জীবিকায় ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। কৃষিভূমির পরিমাণ হ্রাস, উষ্ণতা বৃদ্ধি, সমুদ্র উচ্চতা বৃদ্ধি ইত্যাদি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অশনি সংকেত। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলা, জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য রক্ষায় সবার একসঙ্গে কাজ করা জরুরি ৷ অধিকতর বাসযোগ্য, সহনশীল, সবুজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সাম্যভিত্তিক বিশ্ব নির্মাণে পি-টুয়েন্টি সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ। পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কাজ করছে। তিনি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও তার ভিশনারি নেতৃত্বে সরকার বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০, ভিশন ২০৪১, ন্যাশনাল এডপ্টেশন প্ল্যান (এনএপি) ২০২৩-২০৫০, ন্যাশনালি ডিটারমিন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি), মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান ইত্যাদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
শিরীন শারমিন বলেন, বিশ্বের সংসদগুলোকে পৃথিবীর যথাযথ সুরক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক শক্তি সংরক্ষণ, পানিসম্পদ সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা, সুষ্ঠু বর্জ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন ইত্যাদি অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে টেকসই-সবুজ পৃথিবী নির্মাণে একত্রে কাজ করার বিকল্প নেই। উদীয়মান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে পেতে বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যদের নিয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় ও সভার আয়োজন করা যেতে পারে।
এ কনফারেন্সে স্পীকার আইপিইউ প্রেসিডেন্ট ডুয়ার্তে পাচেকো এবং মরিসাসের স্পিকার সুরোজদেভ ফকীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেমিনারে ভারতের লোকসভার স্পীকার ওম বিড়লাসহ ব্রাজিলের স্পিকার আর্থার লিরা, নাইজেরিয়ার স্পিকার তাজুদ্দিন আব্বাস, ভারতে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি সোম্বি শার্প বক্তব্য রাখেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দিল্লি পৌঁছালে পশ্চিমবঙ্গের এমপি লকেট চ্যাটার্জী তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
এসকে/এফআর