ঢাকা: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় এরই মধ্যে হাইকোর্টেও নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ কমিটি গঠন করেছে এবং কমিটি সক্রিয় আছে। এ অভিযোগ কমিটি পর্যায়ক্রমে সব প্রতিষ্ঠানে করা উচিত।
এ আইনে নারী, পুরুষ ও অন্যান্য লিঙ্গের পার্থক্য করা হবে না বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর কাওরানবাজারে মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২২: আমাদের করণীয়’ বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
কমিশন চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বলেন, সব সংগঠন এ আইনের খসড়া তৈরি করেছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে আইন বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে আইনটি সংযোজন বিয়োজন করে কমিশনের অধীনে একটি সমন্বিত আইনের খসড়া তৈরি করবো এবং আইনটি পাশ করানোর জোরালো প্রচেষ্টা চালাবো।
ড. তানিয়া হক বলেন, দুটো জায়গাতে কাজ করা-যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে, কোন জায়গায় হচ্ছে সেটি আমাদের জেন্ডার লেন্স দিয়ে দেখতে হবে। পরিবার থেকে অনেক ক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শুরু হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতন হতে হবে।
কমিশনের পূর্ণ সদস্য সেলিম রেজা বলেন, বিদ্যমান অন্যান্য আইনের সঙ্গে এ খসড়া আইনের ধারাগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে। যেন বাংলাদেশর সংবিধান ও বিদ্যামান আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয় এবং লক্ষ্য রাখতে হবে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসনকে যাতে জড়িত রাখা যায়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বলেন, আমাদের সেল রয়েছে, নারী শিশুর সুরক্ষার জন্য ১১টি আইন আছে, সারা বাংলাদেশে ১৮ শতাংশ মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে।
শাহিনা আক্তার ডলির সভাপতিত্বে বাংলাদেশের পলিসি ও অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার হালিমা আক্তার, নাছিমা আক্তার জলি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
এনবি/জেএইচ