ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ডিএমপির এসআইয়ের নামে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ডিএমপির এসআইয়ের নামে মামলা

বরিশাল: প্রবাসীর স্ত্রী ও এক সন্তানের জননীকে এক বছর ধরে বিভিন্ন সময় ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) নামে বরিশালের আদালতে মামলা হয়েছে।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নালিশি মামলা করেন ওই প্রবাসীর স্ত্রী।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন নালিশি অভিযোগ বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী ও আইনজীবী।

অভিযুক্ত এসআই হলেন মো. মিজানুর রহমান ফারুক (৫৪)। ঢাকা মহানগর পুলিশের এসআই হিসেবে কর্মরত ফারুক বরিশাল নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ড এআর খান সড়কের বাসিন্দা মো. আব্দুর রশিদ খানের ছেলে।

মামলার আইনজীবী আফজালুল করিম বলেন, এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিচার বিভাগীয় তদন্ত দেওয়া হয়েছে।

মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী হুমায়ন কবির বাংলানিউজকে বলেন, অভিযুক্ত এই পুলিশ সদস্য ভুক্তভোগীর স্বামী মালয়শিয়া প্রবাসীর বন্ধু। এ সুবাদে পরিচয়ে নগরীর এআর খান সড়কে পুলিশ সদস্যের ৯ শতাংশ জমি কিনতে ৪৫ লাখ টাকা দেন প্রবাসীর স্ত্রী। জমির দলিল না দিয়ে নানা টালবাহানা করেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন সময় প্রবাসীর স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতেন।

২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রবাসীর স্ত্রী নগরীর এ আর খান সড়কে ভাইয়ের নির্মাণাধীন ভবনে যান। এ সময় সেখানে পুলিশ সদস্য এসে তাকে জোর করে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে প্রবাসীর স্ত্রীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন ওই পুলিশ সদস্য। ওই ছবি ও ভিডিও স্বামী এবং স্বজনদের কাছে পাঠানো ও ইন্টারনেটে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে ২০২৩ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তিনি আরও ধর্ষণ করে এসেছেন। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনারের (প্রোটেকশন বিভাগ) কাছেও লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী। কিন্তু কোনো বিচার না পেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭ ,২০২৩
এমএস/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।