ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুরে মিঠা পানির বিলুপ্তপ্রায় কুমির উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
ফরিদপুরে মিঠা পানির বিলুপ্তপ্রায় কুমির উদ্ধার

ফরিদপুর: ফরিদপুরের মিঠাপানির বিলুপ্ত প্রায় একটি কুমির উদ্ধার করেছে বনবিভাগের প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের একটি উদ্ধারকারী দল।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের গজারিয়ার ভুবনেশ্বর নদ থেকে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়।

প্রায় ৭ ফুট লম্বা কুমিরটি নিয়ে সড়কপথে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হয় উদ্ধারকারী দল।

জানা গেছে, গত বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের শিকদারডাঙ্গী গ্রামের ভুবনেশ্বর নদে প্রথম কুমিরটি দেখা যায়। পরেরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে কয়েকবার কুমিরটি ভেসে ওঠে। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আলিয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. বকলুকার রহমান জানান, কুমির দেখার খবর পেয়ে থানা ও বন বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার মানুষকে সাবধান করে। সতর্ক করে বিভিন্ন মসজিদ থেকে মাইকিংও করা হয়।

খুলনা থেকে আসা প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের প্রাণী বিশেষজ্ঞ মফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, কুমিরটি উদ্ধারে গত রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুরের সদর উপজেলার পাটপাশা এলাকায় পরিদর্শনে যায় উদ্ধারকারী একটি দল। তবে সেখানে কুমিরের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে মঙ্গলবার দুপুরে গজারিয়ায় ব্রিজের নিকট ভুবনেশ্বর নদে কুমিরটি দেখতে পেয়ে সেটি উদ্ধার করা হয়।

মফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, উদ্ধার হওয়া কুমিরটি প্রায় বিলুপ্ত। কুমিরটি প্রথমে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রে নেওয়া হবে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের ৯ আগস্ট ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত একটি খালে মিঠা পানির একটি কুমির পাওয়া গিয়েছিল। কুমিরটি সাতদিন ধরে ওই জলাধারে অবস্থান করেছিল। পরে সেটিকে ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাঠায় প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। এরপর গত বছরের আগস্ট মাসে সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের মনসুরাবাদ গ্রামে ভোরবেলা মুরগির ছটফট শব্দ পেয়ে খোপের দিকে এগিয়ে গেলে কুমিরের কামড়ে পায়ে ও হাতে জখম হন।

২০০০ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে মিঠা পানির কুমির বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে।

আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ভুবনেশ্বর নদে দেখা মিলল কুমিরের, আতঙ্কে মানুষ

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।