কুমিল্লা: বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন, নির্বাচনের জন্য আমরা পুরো প্রস্তুতি নিয়েছি। নির্বাচনের সময় আমাদের যে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা, আমরা তো অনেক আগেই তা নিয়েছি।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) কুমিল্লার কোটাবাড়ি এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-১০ এর আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধিকরণ অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন বিজিবি পরিচালক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবির সরাইল রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, কুমিল্লার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. শরিফুল ইসলাম মেরাজ, কুমিল্লা ১০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সিগন্যাল অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক ইমরুল হাসানসহ জেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারা।
এসময় বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, আমরা অস্ত্র ও গোলাবারুদ ঠেকাতে কাজ করছি। বিশেষ করে মাদক নিয়ন্ত্রণে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। মাদক আমাদের আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। কুমিল্লা একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এ এলাকা দিয়ে মাদকের বড় চালান আসে। এখন রুখে দেওয়া হচ্ছে। সারা কুমিল্লার একটি এলাকায় এতো মাদক এলে সারা দেশে কতো মাদক আসে, তা ধারণা করুন। কুমিল্লা থেকে রুট বদলে এখন অন্য রুটে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। তবুও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি নিয়ন্ত্রণের। বিজিবি মাদক নিয়ন্ত্রণে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
মহাপরিচালক বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এ বাহিনী কালের পরিক্রমায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সানুগ্রহ এবং পৃষ্ঠপোষকতায় ধারাবাহিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আজ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। একজন প্রশিক্ষিত সৈনিকের বন্ধু হচ্ছে তার ব্যক্তিগত অস্ত্র। কাজেই এ অস্ত্রের ওপর তার পারদর্শিতা থাকতে হবে। দেশপ্রেম এবং মনোবল নিয়ে প্রত্যেক বিজিবি সদস্য দেশের প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকে। আর এ প্রস্তুতির একটি বড় অংশ হচ্ছে পেশাগতভাবে নিজেকে গড়ে তোলা। পেশাগত উৎকর্ষতার একটি অন্যতম উপাদান হচ্ছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং ফায়ারিংয়ে দক্ষতা অর্জন।
বিজিবি ১০ সূত্রে জানা গেছে, মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধিকরণ অনুষ্ঠানে গত এক বছরে কুমিল্লা-১০ বিজিবি জব্দ করা ৩৬ হাজার ২৩৬ বোতল ফেনসিডিল, ছয় হাজার ৯৩৮ কেজি গাঁজা, ৬৬ হাজার ৭৭০ বোতল বিদেশি মদ, চার হাজার ৭০২ ক্যান বিয়ার, পাঁচ হাজার ১৩ বোতল ইস্কাপ সিরাপ, ৭৩ হাজার ১৩৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩২ হাজার ৩৫৮টি বিভিন্ন অবৈধ ট্যাবলেট ও এক লাখ এক হাজার ৮৯২টি সিনোগ্রা ট্যাবলেট ধ্বংস করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
এসআই