বগুড়া: বগুড়ায় কারাগারের সীমানা প্রাচীরের বাইরে ড্রেনের ভেতর থেকে একরামুল হক (৪০) নামে এক কারারক্ষীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে জেলখানার দক্ষিণ পূর্ব কোণে অবস্থিত ২নং গেট সংলগ্ন ড্রেন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত একরামুল হক নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার কান্দা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। একরামুল বগুড়া কারাগারের ব্যারাকে থেকেই দায়িত্ব পালন করতেন।
মরদেহ উদ্ধারের সময় তার মাথার বাঁ পাশে ক্ষতস্থান থেকে রক্ত ঝরছিল। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে এবং ড্রেনে তার মরদেহ এলো কীভাবে - সে বিষয়ে কারা প্রশাসন এবং পুলিশ কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে পারেননি।
কারারক্ষীর পোশাক ও জুতা পরা অবস্থায় একরামুলের মরদেহ ড্রেনের ভেতরে উপুড় হয়ে পড়েছিল। তার মাথার অংশ ড্রেনের ওপর নির্মিত কালভার্টের দিকে ছিল।
বগুড়া জেলখানার জেলার পদে কর্মরত ফরিদুর রহমান রুবেল বলেন, সীমানা প্রাচীরের দক্ষিণ পূর্ব কোণে ২নং গেট এলাকায় বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য সেখানে যান একরামুল হক। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে হারেজ নামে কর্তব্যরত রিজার্ভ হাবিলদার আমাকে জানান যে, কারারক্ষী একরামুলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তারপর খুঁজতে গিয়ে বিকেলে ২নং গেট সংলগ্ন ড্রেনের ভেতরে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এর পর পরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
কারারক্ষী একরামুলের শ্যালক রবিউল ইসলাম জানান, তার ভগ্নিপতির কোনো রোগব্যাধি ছিল না।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, জেল খানার ১নং গেটসহ সীমানা প্রাচীরের বাইরে প্রায় সকল স্থানে সিসি ক্যামেরা থাকলেও যেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে কোন সিসি ক্যামেরা ছিল না। মৃত্যুর কারণ জানতে আমরা পুরো বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখছি। আমাদের একাধিক টিম এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
কেইউএ/এসএএইচ