ঢাকা: ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে গার্মেন্টসকর্মী রুনা আক্তার (২৬) হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি রাশেদ হোসেনকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৪।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে আশুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিও জানান, গত ১৭ অক্টোবর ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন রনস্থল বটতলা এলাকায় একটি টিনশেড ভাড়া বাসা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করে। পরে ওই বাসা থেকে রুনা আক্তারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রুনার বাবা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে র্যাব-৪ এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। পরে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) হত্যাকাণ্ডের হোতা রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রুনা গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে আশুলিয়ার বটতলা এলাকায় একটি টিনশেড বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকতো। আসামি রাশেদ ও রুনা একই টিনশেড ভাড়া বাসায় আলাদা আলাদা রুমে থাকার সুবাদে ৩ মাস আগে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রুনা গত ১ মাস ধরে বিয়ের ব্যাপারে চাপ দিতে থাকলে রাশেদ কালক্ষেপণ করতে থাকে।
গত ১৫ অক্টোবর রাতে রুনার সঙ্গে দেখা করার জন্য তার রুমে গেলে রাশেদকে বিয়ের ব্যাপারে পুনরায় চাপ দেওয়ায় উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রাশেদ ক্ষিপ্ত হয়ে রুনাকে ঘরের মেঝেতে ফেলে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে রুনার ব্যবহৃত একটি ওড়না ভুক্তভোগীর গলায় পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পলিয়ে যায় রাশেদ। গ্রেপ্তার রাশেদকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৩
এসজেএ/জেএইচ