ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় হামুন আগামী বুধবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি পটুয়াখালী ও চট্টগ্রামের মাঝ দিয়ে উঠে আসবে স্থলভাগে।
বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অফিস এমন তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী এম শর্মা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতেই এটি প্রথমে সর্বোচ্চ শক্তি সঞ্চয় করবে। এরপর এটি বাংলাদেশের উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে এবং শক্তি কিছুটা কমবে। বুধবার সন্ধ্যায় এটি বাংলাদেশের পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও চট্টগ্রামের মাঝ দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের একটি অংশ স্থলভাগে আঘাত করবে। স্থলভাগে আঘাতের আরও পরে হামুন গভীর নিম্নচাপে রূপ নেবে।
ইতোমধ্যে ঝড়ের প্রভাবে দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছে। ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত থাকবে।
ঘূর্ণিঝড় হামুন নামটি দিয়েছে ইরান। বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের নাম নির্ধারণ করে থাকে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক আঞ্চলিক সংস্থা-এসকাপ। এই অঞ্চলের মোট ১৩টি দেশের দেওয়া নাম নিয়ে তালিকা তৈরি করে সংস্থাটি। সেই তালিকা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে একেকটি ঝড়ের নামকরণ করা হয়। আর এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম সেই তালিকা অনুসারেই করা হয়েছে।
হামুন সোমবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ০৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭০ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য সাগর উত্তাল থাকায় সকল সমুদ্রবন্দরে তোলা হয়েছে চার নম্বর সংকেত। নদীবন্দরগুলোতেও তোলা হয়েছে এক নম্বর সংকেত।
ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় উপকূলের কাছাকাছি এলে এক থেকে দেড় মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এজন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌকা, ট্রলারকে গভীর সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
ইইউডি/এমজেএফ