ঢাকা: চলতি সপ্তাহে গ্রীষ্ম ও শীতকালীন সবজির দাম বেড়েছে। পেঁপে ছাড়া কোনো সবজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি কেজির নিচে মিলছে না।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁপে ছাড়া সব ধরনের সবজি প্রকারভেদে ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, এই সপ্তাহে সবকিছুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে গত শুক্রবার পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়ে। প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ২০ টাকা ৫০ টাকা বেড়েছে বলেও জানান তারা।
এ ব্যাপারে তালতলা সরকারি কর্ম কমিশন সড়কের সামনে ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা লোকমান বলেন, চলতি সপ্তাহে যে দাম বেড়েছে সেটাই চলমান আছে। বাজারে আগের দামেই পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৯০ টাকা দরে। গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শেওড়াপাড়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা রাকিব বলেন, গত সপ্তাহের দামেই ব্রয়লারসহ অন্যান্য মুরগি বিক্রি হচ্ছে। সোনালি ৩২০ টাকা কেজি, সোনালি হাইব্রিড ৩০০, দেশি মুরগি ৫০০, লেয়ার ৩৪০ এবং ব্রয়লার ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার এসব বাজারে বেগুন ৮০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১২০, ঢেঁড়স ১০০ থেকে ১২০, পটল ১০০, বরবটি ১২০, ধুন্দুল ৮০, চিচিঙ্গা ৮০, শসা ৬০ থেকে ৮০, লাউ প্রতি পিচ ৭০ থেকে ৯০, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০, ধনে পাতা কেজি ৪০০, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০, জালি কুমড়া ৫০ এবং মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আলু ৫০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির মধ্যে ছোট বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি ছোট আকারের ৪০ থেকে ৫০, প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৮০, শিম ১৬০ থেকে ২০০, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১২০, কচুরমুখী ১০০ এবং গাজর ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ৪০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৬০, মূলা শাক ২৫, পালং শাক ৩০ ও কলমি শাক ১৫ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ ও দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকা।
এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০, মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪০০, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৫০, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১০০০, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ১২০০, কাতল ৪০০ থেকে ৮০০, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, তেলাপিয়া ২২০, কৈ মাছ ২৪০ থেকে ২৫০, মলা ৪৫০, বাতাসি টেংরা ১২০০, কাচকি মাছ ৬০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ এবং রুপচাঁদা ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
এসএমএকে/এফআর