খুলনা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ‘হামুন’ আরও শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ উঠছে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর, কক্সবাজারে ৬ এবং মোংলা বন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলীয় তিনটি উপজেলাসহ জেলার ৯ টি উপজেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬০৪ টি আশ্রয়কেন্দ্র। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবেন ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হামুন মোকাবেলার অংশ হিসেবে উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে মাইকিং করার পাশাপাশি আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ছাড়াও আক্রন্ত হলে দ্রুত সেবা দানের জন্য কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলায় ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রস্তত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেয়া মানুষের জন্য ৩২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার মজুত করা হয়েছে। এছাড়া নগদ সাত লাখ টাকা, পর্যাপ্ত খাবার পানি এবং ৬৪৯ মেট্রিক টন চাল মজুদ করা হয়েছে।
হামুন মোকাবেলায় আজ মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাও করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কয়রা উপজেলার চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন এর ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এলাকায় জনসাধারণকে সতর্ক থাকার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে উপজেলার ১১৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
এমআরএম/এমএম