ঢাকা: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা, আহতদের পাঁচ লাখ টাকা হারে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি। পাশাপাশি এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) গণমাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, রেলখাতে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। শতাধিক প্রকল্পে লাখো কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন ও সেতু সংস্কার না করা, সিগন্যালিং পদ্ধতি আধুনিকায়ন না হওয়ায়, মেয়াদোত্তীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ লোকোমোটিভ ও কোচের ব্যবহারের কারণে রেলপথ দিন দিন বিপদজনক হয়ে উঠছে।
এতে আরও বলা হয়, সরকার রেলকে গণমুখী করতে লাখো কোটি টাকা বিনিয়োগ করলেও পরিচালনার অদক্ষতায়, স্বল্প খরচে ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন ও সেতু সংস্কার না করা, মেয়াদোত্তীর্ণ কোচ মেরামত, দক্ষ জনবল তৈরির মতো ছোট ছোট যাত্রীবান্ধব প্রকল্পে রেল কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে না। ফলে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রেলপথ দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। একের পর এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে।
বিবৃতিতে জরুরি ভিত্তিতে এই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের আইনের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়ে রেলপথ নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানায় যাত্রীকল্যাণ সমিতি।
গত সোমবার বিকেলে ভৈরব জংশনের কাছাকাছি গাইনাহাটি এলাকায় যাত্রীবাহী এগারো সিন্ধুর গোধূলী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী একটি ট্রেনের এ সংঘর্ষ হয়। এতে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মনিটরিং সেলের তথ্যমতে, ২০২১ সালে ৪০২টি ছোট-বড় রেল দুর্ঘটনায় ৩৯৬ জন নিহত ও ১৩৪ জন আহত হয়েছেন। পরের বছর ২০২২ সালে ৬০৬টি ছোট-বড় রেল দুর্ঘটনায় ৫৫০ জন নিহত এবং ২০১ জন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
এনবি/এইচএ/