ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রেমের টানে ঈশ্বরদীতে আমেরিকার তরুণী

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
প্রেমের টানে ঈশ্বরদীতে আমেরিকার তরুণী আসাদুজ্জামান রিজু ও হারলি এবেগেল আইরিন ডেভিডসন

পাবনা (ঈশ্বরদী): ফেসবুকে পরিচয় দুই তরুণ-তরুণীর। বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক।

তারপর ঘর বাঁধার স্বপ্ন। তবে তাদের মধ্যে বাধা ছিল অনেক। দুই দেশ, ভিন্ন সংস্কৃতি। শেষ পর্যন্ত ভালোবাসারই জয় হয়েছে। তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। ইতোমধ্যে ঘরকন্নাও শুরু করেছেন।

এই দম্পতি হলেন বাংলাদেশের আসাদুজ্জামান রিজু (২৭) ও আমেরিকার হারলি এবেগেল আইরিন ডেভিডসন (২০)।  

রিজুর বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভা এলাকার পিয়ারাখালী। তিনি কম্পিউটার মেরামত ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করেন। আর ডেভিডসনের বাড়ি আমেরিকার কেন্টাকি প্রদেশের জর্জটাউন শহরে।  

স্থানীয় এলাকাবাসী ও রিজুর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভালোবাসার যুবককে বিয়ে করতে গত ১৯ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশে আসেন ডেভিডসন। রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রিজুর পরিবারের সদস্যরা। ২০ অক্টোবর দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নে স্থানীয় কাজী অফিসে মুসলিম রীতিনীতিতে বিয়ে হয় রিজু ও ডেভিডসনের।

রিজুর সঙ্গে ডেভিডসনের পরিচয় কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে ডেভিডসনের সঙ্গে পরিচয়। তখনও জানতাম না তার বাড়ি কোথায়? প্রায় বছর খানেক ধরে চেনা-পরিচয়, বন্ধুত্ব। তারপর ধীরে ধীরে ভালো লাগা, প্রেমের সম্পর্ক। ’ দুজনই তাঁদের পরিবারের সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে আলোচনা করেন। দুই পরিবারই সম্মতি দেয়। কিন্তু বাধা ছিল দূরত্ব। পরে ডেভিডসন বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন।

বিয়ের পর বর্তমানে ঈশ্বরদী শহরের পিয়ারাখালী মোড় এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন তারা। ভিন্ন পরিবেশে আস্তে আস্তে মানিয়ে নিচ্ছেন ডেভিডসন।  

এ সম্পর্কে রিজু বলেন, ‘ডেভিডসন ভালোবেসে বাংলাদেশে এসেছেন। এ জন্য আমি গর্বিত। এ দেশে তার খাবার নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে সে কিছু কিছু বাংলা শিখেও ফেলেছেন। পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথাও বলছেন।

ডেভিডসন বাংলানিউজকে জানান, বাংলাদেশে আসার আগে কিছুটা শঙ্কা ছিল ডেভিডসনের মনে।  

তিনি বলেন, এ দেশ সম্পর্কে অনেকে খারাপ ধারণা দিয়েছিলেন। এখন দেখি সেসব সত্য নয়। এই দেশ ভালো লাগছে। রিজু ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমি খুবই খুশি।

বিদেশি হলেও পুত্রবধূকে পেয়ে খুবই খুশি রিজুর বাবা আব্দুল লতিফ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘অসংখ্য মানুষ তাদের দেখতে আসছেন। এটা দেখে ভালো লাগছে। ছেলের শ্বশুরবাড়ি দেখার ইচ্ছা হচ্ছে। কিন্তু আদৌ তা সম্ভব হবে কি না জানি না?’

ঈশ্বরদী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম সাবু বাংলানিউজকে বলেন, আমেরিকার একটি মেয়ের সঙ্গে আমার মহল্লার এক ছেলের বিয়ে হয়েছে। তাদের ভালোবাসার গল্প শুনে ভালো লাগল। ওই তরুণীর যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪ ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।