ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৬৬ লাখে সড়ক সংস্কার, ১ মাসও টিকল না কার্পেটিং!

তৌহিদ ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২৩
৬৬ লাখে সড়ক সংস্কার, ১ মাসও টিকল না কার্পেটিং!

নওগাঁ: নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার গোবরচোপা বাজার থেকে সাগরপুর সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে এক মাসও হয়নি। কিন্তু এর মধ্যেই উঠে যেতে শুরু করেছে সড়কের কার্পেটিং, ফাটল ধরেছে বহু অংশে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায় একটি যুবক সড়কটির কার্পেটিং খুব সহজেই হাত দিয়ে তুলে ফেলছেন। ভিডিওটি দেখার পর জন্ম নিয়েছে নানান সমালোচনা। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। আর স্থানীয়দের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।

গোবরচোপা বাজারের বাসিন্দা আকতার হামিদ বাংলানিউজকে জানান, সড়ক কার্পেটিং করার পর থেকেই পিচ পাথর উঠে যাচ্ছে। রাস্তার কাজ খুবই নিম্নমানের হয়েছে। এরমধ্যে ফাটল ধরা জায়গাগুলো নতুন করে রিপেয়ারিং করা হয়েছে। কিন্তু সেটিও ভালো হয়নি। আবার ফাটল ধরেছে অনেক স্থানে। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এত নিম্নমানের কাজ হবে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানান ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

মিন্টু নামের এক ব্যবসায়ী জানান, রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার কিছুদিন পরেই দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। যাত্রীসহ একটি ভ্যান চলাচল করলেই সড়ক ফেটে যাচ্ছে। একদিন সকালে বাজারে কিছু লোক হাত দিয়েই সড়কের কার্পেটিং তুলে ফেলতে পেরেছেন। পরে দেখা গেলো কার্পেটিং এর নিচে কোনো প্রকার বিটুমিন বা পিচ ব্যবহার করা হয়নি। এ জন্য শুধু হাত দিয়ে টানতেই তা উঠে যাচ্ছে। এমন কাজ মেনে নেওয়ার মতো না। যারা এখানে শুধু নামমাত্র কাজ করে টাকা নিয়ে চলে গেছে তাদের বিচার হওয়া উচিত।

প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৬ লাখ টাকা টাকা। সড়কটি সংস্কারের দায়িত্ব পায় ‘সামিহা এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী সাইদুজ্জামান সিফাত ফোনে জানান, সব মালামাল পরীক্ষা করেই সেখানে কাজ করা হয়েছে। তারপরও একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম হয়েছে। আমি যত দ্রুত সম্ভব এটি ঠিক করে দেব।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির বদলগাছি উপজেলা প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সড়কটিতে কাজের মান শতভাগ সঠিক হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার পরে সব রকম টেস্ট হয়েছে। এমনকি রাজশাহী থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী  লুৎফর রহমান নিজেও কাজ দেখে গেছেন। এরপর ঠিকাদার বিল তুলেছেন।

তিনি আরও বলেন, রাস্তার কাজ যদি খারাপ হতো, তাহলে গাড়ির চাকার সাঙ্গেই উঠে যেত। কিন্তু স্থানীয় কিছু লোকজন হাত দিয়েই রাস্তার কার্পেটিং তুলে ফেলছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।