মাদারীপুর: মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলার চরমুগরিয়া ও হাজরাপুরের যুবসমাজ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে শনিবার (২৮ অনুষ্ঠিত) বিকেলে এ বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে পঙ্খীরাজ, টিয়াঠোড়ি, বাচারি এমন বাহারি ১১টি নৌকা অংশ নেয়।
নৌকাবাইচ দেখতে নদের দু’পাড়ে ভিড় জমায় নানান বয়সী হাজারো দর্শনার্থী। নৌকাবাইচ ঘিরে এক মিলনমেলায় পরিণত হয় নদের দুই পাড়।
জানা গেছে, শনিবার বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদে অনুষ্ঠিত হয় নৌকাবাইচ। বিকেলে আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ে শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সের মানুষের মিলনমেলা বসে। কেউবা আবার ট্রলারে করে উপভোগ করে এই নৌকাবাইচ। সংস্কৃতি আর গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐহিত্য ধরে রাখতে মাদারীপুরের চরমুগরিয়া ও হাজরাপুরের যুবসমাজ ও স্থায়ীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই বাইচের আয়োজন করা হয়। লক্ষ্মীগঞ্জ ব্রিজের নিচ থেকে হাজরাপুর ব্রিজে গিয়ে শেষ হয়। এই এলাকাজুড়ে চলে বাইচ। যা দেখে আনন্দে মেঠে ওঠেন দর্শকরা।
অংশ নেওয়া ১১টি নৌকার মধ্যে বাজিতপুরের প্রশান্ত ওঝা প্রথম পুরস্কার হিসেবে ৩২ সিফটি ফ্রিজ, দ্বিতীয় পুরস্কার পান কোটালিপাড়ার কালীপদ তালুকদার পান ২৮ সিফটি ফ্রিজ ও তৃতীয় পুরস্কার পান বাজিতপুরের মজিবর শেখ একটি ৩২ ইঞ্চি টেলিভিশন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন বেপারী। প্রধান অতিথি ছিলেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হাফিজুর রহমান জাচ্চু খান।
নৌকাবাইচের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন রাস্তি ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইদ্রিস শিকদার, সমাজসেবক আতাউর রহমান রুবেল মুন্সি, হাজরাপুরের হাবিব বেপারী, স্থানীয় ইউপি মেম্বার গোলাম মওলা ফকির, আবুল বাসার, সুমন বেপারী, রাস্তির যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ ফকির, পুটিয়ার মোখলেস ফকির, জাহাঙ্গীর আকন, অ্যাডভোকেট রিয়াদ মোল্লা, মফিজ তালুকদারসহ স্থানীয় লোকজন।
আয়োজক ইদ্রিস শিকদার বলেন, ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে নৌকাবাইচের বিকল্প নেই। বাইচকে ঘিরে নদের দুইপাড়ে বসে হরেক রকমের দোকান। খাবার ও খেলনাসহ বিভিন্ন দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরগরম। যা দেখতে নদের দু’পাড়ে ভিড় জমান হাজার হাজার দর্শক। নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আগামীতেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
এসআরএস