ঢাকা: ২৮ অক্টোবরের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর- টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তবে অবরোধের মধ্যেও পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহন চালানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
একই সঙ্গে বাস চালানোর ঘোষণা দিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিসি)। অন্যদিকে ট্রেন ও লঞ্চ চলাচলও স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থা দুটির কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, আগামীকাল (৩১ অক্টোবর) থেকে টানা তিন দিন সারা দেশে সড়ক, রেল, নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ব্যাপারে জরুরি আলোচনা করার জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মালিক-শ্রমিকদের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিএনপির ডাকা মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবারের অবরোধ উপেক্ষা করে ঢাকাসহ সারা দেশে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন চলাচল অব্যাহত থাকবে বলে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামীকাল থেকে টানা তিন দিন ঢাকাসহ সারা দেশে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য সারা দেশের পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অনুরোধ জানানো হয়।
এ ছাড়া সদরঘাটে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। এই তিন দিনে আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা হিটলার বল বলেন, বাস চলবে। সরকারি গাড়ি কোনো অবরোধ বা হরতালে বন্ধ থাকে না।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, অবরোধে ট্রেনের কোনো সময়সূচি পরিবর্তন হবে না। ট্রেন সময়মতো চলবে।
এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি বলছে, বিএনপি-জামায়াত সমাবেশ ও হরতাল কর্মসূচির নামে দলীয় সন্ত্রাসীরা ঢাকাসহ সারা দেশে ১৩টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংস করেছে এবং শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেছে। অবরোধের দিনগুলোতে গাড়ি চলাচলে যাতে কোনো প্রকার বাধাগ্রস্ত না হয়, তার জন্য রাজধানী ঢাকাসহ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৯ অক্টোবরের হরতালের মতো অবরোধেও যথারীতি মেট্রোরেল চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৩
এনবি/এমজেএফ