গাজীপুর: গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভরত শ্রমিকরা পুলিশ বক্স, একটি শোরুম ও গাড়িতে আগুন দিয়েছেন।
শ্রমিকরা একটি হাসপাতাল ভাঙচুর করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত কয়েকদিন ধরে বেতন বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ, অবরোধ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করছেন শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া বাইপাস, চন্দ্রা, পল্লী বিদ্যুৎ, মৌচাক, শ্রীপুর ও টঙ্গীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন।
একপর্যায়ে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আগুন ধরিয়ে অবরোধ করে। এ সময় দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় ওয়ালটন শোরুম, একটি পিকআপ ও সফিপুর এলাকায় জেলা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে শ্রমিকরা আগুন দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ছাড়া সফিপুর এলাকায় একটি হাসপাতাল ভাঙচুর করেন শ্রমিকরা।
বিএনপি-জামাতের টানা তিন দিনের ডাকা অবরোধের কারণে সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল নেই বললেই চলে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খাঁন জানান, শ্রমিকরা বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিসংযোগ করলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভান। শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে অন্য দিক দিয়ে তারা মহাসড়কে এসে অবস্থান নেন।
নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন জানান, বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের ফলে সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন নেই বললেই চলে। মৌচাক, চন্দ্রা ও পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সিদ্দিক জানান, শ্রমিকরা চান্দনা চৌরাস্তা ও ভোগড়া বাইপাস এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করছেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তেমন যানবাহন নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০, অক্টোবর ৩১, ২০২৩
আরএস/আরএইচ