ঢাকা: মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছে দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিক ও কর্মচারীরা। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) মজুরি বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধারা আবাসিক এলাকায় ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড-এর সম্মেলন কক্ষে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের উদ্যোগে ‘পোশাক খাতে সংকট, সমাধান কোন পথে’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এমন তথ্যই জানা গেছে।
বৈঠকে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার চূড়ান্ত মজুরি ঘোষণা হবে। শিল্প সুরক্ষা করে শ্রমিকদের জন্য সম্মানজনক হবে এ মজুরি। প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকবান্ধব বলে ১৯৯৪ সালে যে মজুরি ছিল ৯৩০ টাকা। ২০১৮ সালে তিনি আট হাজার টাকায় নিয়ে গেছেন।
বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, মজুরি বোর্ডের ষষ্ঠ বৈঠকে সব পক্ষ আলাপ-আলোচনা করে ন্যূনতম যে মজুরি ঘোষণা দেওয়া হবে আমরা সেটি মেনে নেব। তবে শ্রমিক পক্ষও যেন সেটি মেনে নেয়-এ প্রত্যাশা থাকবে আমাদের। যদিও মঙ্গলবার মালিক পক্ষ বাড়িয়ে নতুন করে প্রস্তাব দেবে এবং সেটি ভালো মজুরি প্রস্তাবই দেওয়া হবে।
তবে শ্রমিক নেতারা বলছেন, এ উচ্চমূল্যের বাজারে শ্রমিক যাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাঁচার মতো মজুরি পায় সে দিকটি বিবেচনায় রেখেই যেন চূড়ান্ত মজুরি ঘোষণা দেওয়া হয়।
বৈঠকে শ্রমিক নেতা তৌহিদুর রহমান বলেন, মালিক ও শ্রমিক পক্ষ যে প্রস্তাব দিয়েছে তার মাঝামাঝি একটা মজুরি চূড়ান্ত করলেই আমার মনে হয় উভয় পক্ষর জন্যই সেটি গ্রহণযোগ্য হবে।
এর আগে, গত ২২ অক্টোবরের বৈঠকে শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা এবং মালিকপক্ষের প্রতিনিধি ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাব করেন ১০ হাজার ৪০০ টাকা।
বৈঠকে উভয় পক্ষের প্রস্তাবের মাঝামাঝি একটি মজুরি নির্ধারণ হতে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার টাকার বেশি হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। তবে শ্রমিকরা চায় ১৫ হাজার টাকার মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২৩
এমকে/আরআইএস