পাবনা (ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় ইঞ্জিনচালিত নসিমনের ধাক্কায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিতুলের মৃত্যুর পর মোটরসাইকেল আরোহী আহত সিয়াম হোসেনের (১৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য আরোহী বিশাল মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে সকাল ৯টায় ঈশ্বরদী-পাবনা আঞ্চলিক মহাসড়কের মুলাডুলি ঢুলটি বহরপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। ও অপর দুই মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়।
নিহত সিয়াম ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের শিহাব সরদারের ছেলে। সে ঈশ্বরদী সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনিস্টিটিউটের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার আহত সিয়ামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া থেকে মোটরসাইকেল যোগে একসঙ্গে ঈশ্বরদী অভিমুখে আসছিল মিতুল হোসেন, সিয়াম হোসেন ও বিশাল। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা ইঞ্জিনচালিত নসিমন মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থী মিতুল হোসেন মারা যায়। এসময় অপর দুই মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়।
খবর পেয়ে ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল পাঠানো হয়। পরে সোমবার রাতে সিয়ামের মৃত্যু হয়। বর্তমানে আহত বিশাল এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
আরও পড়ুন: ঈশ্বরদীতে নসিমনের ধাক্কায় প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৩
এসএম