ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যাত্রী নেই, মহাখালী থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে কম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২৩
যাত্রী নেই, মহাখালী থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে কম অবরোধে দূরপাল্লার বাসে যাত্রী নেই

ঢাকা: সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সারাদেশে চলছে বিএনপি-জামায়াত এবং বিভিন্ন সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটের তৃতীয় দফার অবরোধ। বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধ চলবে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত।

অবরোধে রাজধানীতে সীমিত আকারে চলছে গণপরিবহন। দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে কম। সরেজমিনে মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, সীমিত সংখ্যক বাস ছেড়ে গেছে এই টার্মিনাল থেকে।  

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, সাধারণ সময়ের তুলনায় এক চতুর্থাংশ বাস ছাড়ছেন তারা। মূলত যাত্রী না থাকায় সীমিত সংখ্যক বাস ছেড়ে যাচ্ছে। তবে দিনের তুলনায় রাতে দূরপাল্লার বাস বেশি চলাচল করছে।

ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী এনা পরিবহনের মহাখালী টার্মিনালের সেলস এক্সিকিউটিভ মো. শহীদুল ইসলাম জানান, অবরোধে তাদের বাস চলাচল করছে। তবে যাত্রী না থাকায় বিরতি দিয়ে দিয়ে বাস ছাড়ছেন। যাত্রী হলেই বাস ছাড়া হচ্ছে।

সকাল থেকে কতটি বাস ছেড়ে গেছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকাল ১০টা পর্যন্ত ৯টি বাস ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। সাধারণ দিনে এই সময়ে ৩০ থেকে ৩৫টি বাস ছাড়ত।

এ টার্মিনালেই এনা পরিবহনের আরও দুটি রুটের বাস চলাচল করে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ-মৌলভীবাজার রুটে সকাল ১০টা পর্যন্ত চারটি বাস ও সিলেট রুটে দুটি বাস ছেড়ে গেছে বলে কাউন্টার থেকে জানানো হয়েছে।

ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী সৌখিন পরিবহনের বুকিং মাস্টার মো. ইয়াছিন বলেন, অবরোধে আমাদের বাস চলছে। তবে যাত্রী না থাকায় সাধারণ সময়ের মতো বাস ছাড়ছে না। সকাল ১০টা পর্যন্ত ৭টি বাস ছেড়ে গেছে। অন্য সময়ে ৪০টির মতো বাস এ সময়ে ছেড়ে যায়।

অবরোধে বাস ছাড়তে ভয় লাগে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভয় লাগলেও পেট তো চালাতে হবে। মালিকপক্ষের নির্দেশনা আছে বাস ছাড়ার। তাই যাত্রী হলেই বাস ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। গত দুই দফার অবরোধের তুলনায় এবার বেশি বাস চলছে। সন্ধ্যার পর যাত্রী বেশি হয়। তখন আরও বেশি বাস ছাড়ে।

একই কথা বলেন আলম এশিয়ার চালক আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা, বাস না চালালে চলব কী করে? তাই ভয় লাগলেও অবরোধে বাস চালাতে হয়। তবে যাত্রী না থাকায় সেভাবে আয় হয় না। আগে দুই-তিনটি ট্রিপ দিতে পারলেও, এখন মাত্র একটি দেওয়া যায়।

একই বাসের সুপারভাইজার বলেন, অন্য সময় আমাদের বাসে যাত্রী পুরো থাকতো। এখন ১৭-১৮ জন যাত্রী নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে খরচই উঠছে না।

এনাসহ বেশ কয়েকটি বাস ছাড়লেও বগুড়া রুটের একতা পরিবহন যাত্রীর অভাবে কোনো বাস ছাড়তে পারেনি। একতা পরিবহনের সুপারভাইজার হারুন বলেন, আমরা বাস ছাড়ার জন্য বসে আছি। কিন্তু যাত্রী নেই। তাই সকাল থেকে কোনো বাস ছাড়তে পারিনি। যাত্রী হলে রাতে দু-একটি বাস ছাড়া যায়।

একতা পরিবহনের মতো অবস্থা ছোট কোম্পানির বাসগুলোরও। মহাখালী বাস টার্মিনালে কাজী পরিবহন, বিনিময়, অনন্যা, লাবিবা, উজান-ভাটি, নেত্র পরিবহন, সিয়াম বাসের কাউন্টার বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২৩ 
এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।