ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনা বিমানবন্দর প্রকল্পের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৩
খুলনা বিমানবন্দর প্রকল্পের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি

খুলনা: খুলনা বিমানবন্দরর প্রকল্পের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে দ্রুত কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি।

শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিমানবন্দর প্রকল্পের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ১৮ দফা দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় দক্ষিণ অঞ্চলের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো আগামীর খুলনাকে সমৃদ্ধ করবে। খুলনার ভৌগোলিক সম্ভাবনাকে কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে পারলে আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে খুলনাঞ্চল দক্ষিণাঞ্চলের রাজধানী হিসেবে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে। ফলে ভাগ্য পরিবর্তন হবে খুলনা উপকূলের প্রায় চার কোটি মানুষের।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুলনায় স্বাগত জানানোর পাশাপাশি ১৮ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।  

দাবিগুলো হচ্ছে-খুলনা বিমানবন্দর প্রকল্পের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে দ্রুত কাজ শুরু করা, খুলনা-মোংলা-ভাঙা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা, রূপসা-তেরখাদা ও দিঘলিয়াকে খুলনা শহরের সঙ্গে সংযোগের জন্য টানেল নির্মাণ, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ড্রেজিং ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা, খুলনায় পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা, খুলনা-যশোর মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করা, খুলনায় অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন, স্বতন্ত্র ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপন করতে হবে, আমদানি-রপ্তানির সুবিধার্থে মোংলা পোর্টের অদূরে কনটেইনার স্টেশন স্থাপন, খুলনার পাটকলসহ বন্ধ সকল মিল-কলকারখানা চালুর ব্যবস্থা, সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন হাব গড়ে তোলা, ভৈরব, রূপসা ও পশুর নদীর নাব্যতা বাড়াতে নিয়মিত ড্রেজিং-এর ব্যবস্থা, খুলনায় পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন কেন্দ্র চালু, সরকারি উদ্যোগে খুলনায় বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং একটি চিড়িয়াখানা স্থাপন, খুলনা প্রেসক্লাবের বহুতল ভবন নির্মাণে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ, খুলনায় মেরিন অ্যাকাডেমি ও ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠা, খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা ও মহিলা আলিয়া মাদ্রাসাসহ আহসান উল্লাহ কলেজ, হাজী আব্দুল মালেক কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, দৌলতপুর দিবা-নৈশ কলেজ সরকারীকরণ করা, খুলনা-যশোর-দর্শনা ডবল রেললাইন স্থাপন, খুলনা থেকে রেলযোগে ঢাকা যাওয়ার জন্য খুলনা-গোপালগঞ্জ রেললাইন স্থাপন, মুন্সিগঞ্জ-সাতক্ষীরা-যশোর রেললাইন স্থাপন এবং খুলনা-ঢাকা কালনা সেতু হয়ে সরাসরি রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা, শহররক্ষা বাঁধ ও রিভারভিউ পার্ক এবং খুলনায় নভো থিয়েটার দ্রুত বাস্তবায়ন ও ডায়াবেটিক হাসপাতালে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ।

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মাদ আলী, অধ্যাপক আনারুল কাদির, ইঞ্জিনিয়ার আজাদুল হক, সাবেক সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন, প্রচার সম্পাদক মফিদুল ইসলাম টুটুল, মকবুল হোসেন মিন্টু, শাহীন জামাল, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান পান্না, মিজানুর রহমান বাবু ও অধ্যাপক আবুল বাসার।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৩
এমআরএম/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।