কক্সবাজার থেকে: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেল চলাচল এবং ঝিনুকের আদলে নির্মিত সৈকতনগরী কক্সবাজার রেলস্টেশন উদ্বোধন এ অঞ্চলসহ সারাদেশের মানুষের স্বপ্নকেও হার মানিয়েছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী এ নতুন ১০০ কিলোমিটার রেলপথ ও কক্সবাজার রেলস্টেশন উদ্বোধন করা শেষে তথ্যমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম ৭ আসনের এমপি হাছান ট্রেনে বসে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছিলেন কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন নিয়ে আসবেন, আজ সে ওয়াদা পূর্ণ হলো, কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হলো।
কক্সবাজারে এমন একটি 'আইকনিক' রেলস্টেশনের কথা কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমি ইউরোপে পড়াশোনা করেছি, সেখানেও এত সুন্দর রেলস্টেশন খুব কম আছে।
এর আগে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের পাশের অস্থায়ী সভামঞ্চে সভামঞ্চে দুপুর ১২টা ৫৮ মিনিটে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তারপর সবুজ পতাকা নেড়ে এবং হুইসেল বাজিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন তিনি। দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে ওই ট্রেনে ওঠেন সরকারপ্রধান।
এরপর ১টা ২৮ মিনিটে ট্রেনটি প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে কক্সবাজার রেলস্টেশন থেকে রামু রেলস্টেশনের উদ্দেশে রওনা হন। দুপুর ১টা ৫৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী রামুস্টেশনে পৌঁছান।
প্রসঙ্গত, ১৮৯০ সালে ব্রিটিশ আমলে প্রথম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের (সাবেক বার্মা) আকিয়াব বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ। তারপর ১৯১৭ থেকে ১৯২১ সালে চট্টগ্রাম-দোহাজারী পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মিত হয়।
তার ৯২ বছরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার রেলপথ স্থাপনে জন্য ২০১০ সালে প্রথম প্রকল্প নেওয়া হয়।
মোট ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার এ প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। বাকি ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৩
এনবি/জেএইচ