ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

১০ জোড়া বিশেষ ট্রেনে খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পথে নেতাকর্মীরা

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
১০ জোড়া বিশেষ ট্রেনে খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পথে নেতাকর্মীরা

খুলনা: ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে ট্রেনে করে খুলনায় আসছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে ১০ জোড়া স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে বিভাগ।

এসব ট্রেন নওয়াপাড়া, যশোর, বেনাপোল, চুয়াডাঙ্গা, কোটচাঁদপুর, আলমডাঙ্গা, মোবারকগঞ্জ ও কুষ্টিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে খুলনায় পৌঁছাবে।

খুলনা রেলস্টেশন মাস্টার মো. মাসুদ রানা জানান, প্রধানমন্ত্রীর খুলনা সফর উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা থেকে ১০ জোড়া নতুন ট্রেন খুলনায় এসে পৌঁছাবে। শুধু সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রেনগুলো চলাচল করবে।

এসব স্পেশাল ট্রেনেগুলোর মধ্যে থাকছে- সোমবার সকাল ৯টায় কুষ্টিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে খুলনা অভিমুখে যাত্রা করবে স্পেশাল ট্রেন। এতে আসন সংখ্যা ৭৩৫টি। খুলনায় পৌঁছাবে ১২টা ১৫ মিনিটে। ট্রেনটি খুলনা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে আর পৌঁছাবে রাত ৮টা ২০ মিনিটে।

আলমডাঙ্গা থেকে সকাল ৯টায় খুলনা অভিমুখে ছেড়ে আসা আলমডাঙ্গা স্পেশাল ট্রেন খুলনা পৌঁছাবে ১১টা ৫৫ মিনিটে। এতে আসন ৭৩২টি। ট্রেনটি খুলনা ছেড়ে যাবে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে ও পৌঁছাবে রাত ৮টা ২০ মিনিটে।

চুয়াডাঙ্গা থেকে সকাল ৯টায় খুলনা অভিমুখে ছাড়বে চুয়াডাঙ্গা স্পেশাল ট্রেন। ৭৬২টি আসনের এই ট্রেন খুলনা পৌঁছাবে ১১টা ৪০ মিনিটে এবং ছেড়ে যাবে সন্ধ্যা ৬টায়। পরে সেটি পৌঁছাবে রাত ৯টার দিকে।

কোটচাঁদপুর থেকে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে খুলনা অভিমুখে ছাড়বে কোটচাঁদপুর স্পেশাল ট্রেন যেটি খুলনা পৌঁছাবে ১১টায়। এতে আসন ৬৩০টি। ট্রেনটি খুলনা ছেড়ে যাবে সন্ধ্যা ৫টা ৩৫ মিনিটে এবং পৌঁছাবে রাত ৯টার দিকে।

মোবারকগঞ্জ থেকে সকাল ৯টায় খুলনা অভিমুখে ছাড়বে মোবারকগঞ্জ স্পেশাল ট্রেন খুলনা, যেটি পৌঁছাবে ১০ টা ৪০ মিনিটে। এতে আসন সংখ্যা ৭৩৫টি। ট্রেনটি খুলনা ছেড়ে যাবে সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে, পৌঁছাবে রাত ৮টার দিকে।

বেনাপোল থেকে সকাল ৭টায় খুলনা অভিমুখে ছেড়ে আসা বেনাপোল স্পেশাল ট্রেন খুলনা পৌঁছাবে ৮টা ৫০ মিনিটে। এতে আসন ৭৮০টি। ট্রেনটি খুলনা ছেড়ে যাবে সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে, পৌঁছাবে রাত ৭টা ৫০ মিনিটে।

এছাড়া যশোর ও নওয়াপাড়া স্পেশাল দুইটি করে ট্রিপ দিবে। এরমধ্যে যশোর থেকে সকাল ৮টায় খুলনা অভিমুখে ছেড়ে আসা যশোর স্পেশাল ট্রেন খুলনা পৌঁছাবে ৯টায়। এতে আসন ৭৬৪টি। ট্রেনটি খুলনা ছেড়ে যাবে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে, পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। ২০ মিনিট অপেক্ষার পর আবারও যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে যশোর স্টেশন ত্যাগ করে খুলনা পৌঁছাবে বেলা ১২টা ৫ মিনিটে। যশোরের উদ্দেশ্যে ট্রেনটি খুলনা ছাড়বে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে, পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে। যশোর থেকে ফের যাত্রী নিয়ে সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে খুলনায় আসবে সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে।

আর নওয়াপাড়া থেকে সকাল ৯টায় খুলনা অভিমুখে ছেড়ে আসা নওয়াপাড়া স্পেশাল ট্রেন খুলনা পৌঁছাবে ৯টা ৪৫ মিনিটে। এতে আসন ৪৯২টি। ট্রেনটি খুলনা ছেড়ে যাবে সকাল ১০টা ৫ মিনিটে, নওয়াপাড়ায় পৌঁছাবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। নওয়াপাড়া থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে খুলনা পৌঁছাবে বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে। নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে ট্রেনটি খুলনা ছাড়বে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে, পৌঁছাবে ৫টা ১৫ মিনিটে। নওয়াপাড়া থেকে ফের যাত্রী নিয়ে ৫টা ৩৫ মিনিটে ছেড়ে খুলনায় আসবে সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে। পরে ট্রেনটি আবার খুলনা থেকে নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে, পৌঁছাবে রাত ৭টা ৫ মিনিটে। সবশেষ নওয়াপাড়া থেকে ট্রেনটি রাত ৭টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে খুলনায় আসবে রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে।

এছাড়া নৌ-পথে দূরদূরান্ত থেকে খুলনায় আসছেন নেতাকর্মীরা। মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে সোমবার একদিনের জন্য রূপসা ঘাটে পাঁচটি ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শুধু রূপসা ঘাটেই নয়, জেলখানা ঘাটে তিনটি ও নগরঘাটে দুইটি ফেরি চলাচল করবে। দিনটি ঘিরে সব মিলিয়ে খুলনার তিনটি ঘাটে ১০টি ফেরি চলাচল করছে।

খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগ সওজ’র (ফেরি বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজম শেখ জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় নির্বিঘ্নে দলীয় নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের আসা-যাওয়ার জন্য আমরা নদীপথে আগের চারটি ফেরির সঙ্গে আরও ছয়টি নতুন ফেরি যুক্ত করেছি।

খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে দুপুর পৌনে ১টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করবেন। এরপর দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন তিনি। বেলা পৌনে ৩টায় সার্কিট হাউজ মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায়।

জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
এমএম/এমআরএম/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।