নাটোর: প্রায় ২০ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ নয়ন চন্দ্র প্রামাণিককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রওশন আলমের আদালতে হাজির করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে নাটোর শহরের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাদী নাটোর সদরের সাধুপাড়ার আয়েজ উদ্দীনের ছেলে মোজ্জাম্মেল হক কলেজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে অধ্যক্ষ নয়ন চন্দ্র প্রামাণিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কলেজের উদ্যোক্তা ও উন্নয়ন বিষয়ে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগের জন্য অধ্যক্ষ তার কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে ২০১৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নগদ ১৩ লাখ টাকা দেওয়ার পর তাকে কলেজে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এমপিও ভুক্তির সময় আবার অধ্যক্ষ আরও সাত লাখ টাকা তার কাছ থেকে নেন।
এরপরও তার বেতন ভাতার জন্য অধ্যক্ষ এমপিওর কাগজপত্রে স্বাক্ষরও করেনি, জমাও দেয়নি। ১০ বছর পর গত ২৫ অক্টোবর বাদী টাকা ফেরত চাইলে অধ্যক্ষ তা অস্বীকার করেন। পরে গত ৯ নভেম্বর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেন মোজ্জাম্মেল হক।
এদিকে, অধ্যক্ষ ও একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অধ্যক্ষের স্ত্রী বাদী হয়ে মোজ্জাম্মেল হকের বিরুদ্ধে হুমকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুইটি মামলা দায়ের করেছেন।
নলডাঙ্গা উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশ একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করলেও অধ্যক্ষ রাজি হয়নি।
কলেজের অন্য শিক্ষকেরা বলেছেন, অধ্যক্ষ আগেই প্রতিষ্ঠানটিতে তার নিজের স্ত্রী ও ভায়রা ভাইকে শিক্ষক হিসেবে চাকরি দিয়েছেন। এবার মোজ্জাম্মেল হকের পদে শ্যালিকাকে চাকরি দেওয়ার চেষ্টার জন্যই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে অধ্যক্ষ নয়ন চন্দ্র প্রামাণিক তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৩
এসএম