কক্সবাজার: মেরিন ড্রাইভে ঘন গাছপালার কারণে কক্সবাজার-রেজু-টেকনাফ রুটে উদ্বোধনের পরেও চালু করা যায়নি ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস। তবে দুইটি বাস চলাচলের জন্য গাছের ডালপালা কাটা শুরু হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার (১১ নভেম্বর) মেরিন ড্রাইভে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য দুইটি ট্যুরিস্ট বাস সংযোজন করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানা গেছে, প্রায় ৮৪ কি.মি দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভের মধ্যে কলাতলী থেকে রেজু নদী পর্যন্ত প্রায় ১৬ কি.মি জুড়ে রয়েছে ঘন গাছপালা। এ কারণে এ সড়কে চালানো যাচ্ছে না বিআরটিসির ডাবল ডেকার ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস। ফলে গত সোমবার থেকে মেরিন ড্রাইভের গাছপালার ডাল ছাঁটা শুরু হয়েছে। গত ২ দিনে মাত্র ১ কি.মি এলাকায় গাছের ডালপালা ছাঁটা সম্পন্ন হয়েছে। এখনও বাকি আছে আরও প্রায় সাড়ে ১৫ কি.মি এলাকা।
সরেজমিন দেখা গেছে, জেলা প্রশাসনের বীচকর্মী, দমকল বাহিনী, বনকর্মী ও বিদ্যুৎ বিভাগের ৮-১০ জন লোক মিলে মেরিন ড্রাইভের শুকনাছড়ি এলাকায় গাছের ডালপালা কাটছেন। এ কাজের জন্য মাঝেমধ্যে যান চলাচলও বন্ধ রাখা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত কেবল দরিয়ানগর ব্রিজের উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত এলাকার গাছের ডালপালা ছাঁটা সম্পন্ন হয়েছে। বাকি সাড়ে ১৫ কি.মি এলাকার ডালপালা ছাঁটা শেষ হলেই কক্সবাজার-রেজু-টেকনাফ রুটে চালু করা হবে সেই ট্যুরিস্ট বাস।
তবে কবে নাগাদ ট্যুরিস্ট বাস চালু করা যাবে এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, গাছের ডালপালাগুলো দ্রুত অপসারণ করা হচ্ছে। এটি হয়ে গেলে দ্রুতই বাস দুইটি চালু করা হবে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার হোসেন বলেন, মেরিন ড্রাইভে গাছের ডালপালাগুলো কাটছে জেলা প্রশাসন। বনবিভাগসহ অন্য সংস্থাগুলো তাদের সহযোগিতা করছে।
তিনি জানান, মেরিন ড্রাইভ সম্প্রসারণের জন্য রাস্তার পশ্চিম পাশের গাছপালাগুলো এমনিতেও কেটে ফেলা হবে। এ জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মার্কিং করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস চালু করে। লাল-সবুজ রঙের ছাদখোলা ডাবল ডেকার বাস দুইটি বিআরটিসি থেকে লিজ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ৫৫ সিটের বাস দুইটি জেলা প্রশাসনই পরিচালনা করবে।
কক্সবাজার শহরের সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট থেকে পর্যটক নিয়ে একটি ট্যুরিস্ট বাস রেজুখাল ব্রিজ পর্যন্ত যাবে। এরপর তাদের তুলে দেওয়া হবে ব্রিজের অপরপ্রান্তে অবস্থান করা অপর ট্যুরিস্ট বাসে। ওই বাস মেরিন ড্রাইভের টেকনাফ পর্যন্ত চলাচল করবে। পর্যটকরা বাসে করে মেরিন ড্রাইভের পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে ঘুরে দেখবেন। নানা সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এই ট্যুরিস্ট বাসগুলো পর্যটকদের বিনোদনে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
এসবি/এফআর