ঢাকা: বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ৫ম দফার অবরোধ শুরু হয়েছে আজ সকাল ৬টা থেকে। তবে, বিচ্ছিন্নভাবে কিছু বাসে অগ্নিসংযোগ এবং ঝটিকা মিছিল ছাড়া অবরোধের তেমন প্রভাব দেখা যায়নি কোথাও।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টন, জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
এসব এলাকার সড়কে গণপরিবহন যেমন ছিল, তেমনি ব্যক্তিগত পরিবহনও দেখা গেছে। এছাড়া খোলা ছিল দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
পল্টনে কথা হয় ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের চালক আব্দুর রহিমের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, অবরোধ তো চলছেই। বসে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে। অবরোধ আর মানা সম্ভব না। প্রথমে কয়েকদিন আমরা বাস নামাইনি।
একই রুটে চলাচলকারী আকাশ পরিবহনের হেলপার মোশাররফ বাংলানিউজকে বলেন, সড়কে প্রচুর যাত্রী। এখন অবরোধের জন্য তো আমরাও বসে থাকতে পারি না। যতদিন মানা সম্ভব হয়েছে, মেনেছি। এখন অস্তিত্বের প্রশ্ন। তাছাড়া, মালিক সমিতি থেকেও বাস চালানোর কথা বলা হয়েছে। আমরা কোনো দল সমর্থন করি না যে, বাস নিয়ে বসে থাকবো। আগে পেটে ভাত, পরে রাজনীতি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফিরোজ নামে এক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা চাকরি করি, আমাদের তো বের হতেই হবে। অবরোধে তো আর ছুটি দেয় না প্রতিষ্ঠান। ঝুঁকি আছে জানি। কিন্তু, নিরুপায়। রাস্তায় যান চলাচলও স্বাভাবিক।
প্রসঙ্গত, গতকাল রাতে পঞ্চম দফায় বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ৪৮ ঘণ্টা দেশব্যাপী রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এতে সমর্থন জানিয়ে কর্মসূচি পালন করছে সমমনা দলগুলোও।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
এমকে/আরআইএস