ঢাকা: অবরোধ-হরতালে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে। লোকজনেরও চলাচল দেখা গেছে সড়কে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে ওই এলাকায় এমন আলাদা চিত্র দেখা যায়।
বিএনপি-জামায়াত ও তাদের যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের এক দফা দাবিতে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতাল পালন করছে।
সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, মিরপুর-১০ নম্বর এলাকা দিয়ে বাস চলাচল করছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কম লক্ষ্য করা গেছে। কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছুটা ভয় এবং আতঙ্কের কারণে তারা রাস্তায় বের হচ্ছেন না।
ঢাকার মধ্যে চলাচল করা বাসের পাশাপাশি সড়কে চলছে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং প্যাডেলচালিত রিকশা।
একই সঙ্গে এ এলাকায় প্রায় সব ধরনের ছোট-বড় ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং দোকানপাট খোলা আছে, ব্যবসায়ীদের কার্যক্রমও স্বাভাবিক চলছে।
হরতালের সমর্থনে মিরপুর এলাকায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের কোনো নেতা-কর্মী বা অবরোধের সমর্থনে কাউকে পিকেটিং-মিটিং মিছিল করতে দেখা যায়নি।
অবশ্য খানিকটা দূরে মিরপুর-১১ ও ১২ নম্বর এলাকায় দেখা গেছে ভিন্নচিত্র। সেখানে মূল সড়কে গণপরিবহন ছিল একেবারেই কম। এলাকার মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছিলেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সড়কে সতর্ক অবস্থানে আছে পুলিশ।
এ এলাকাগুলোর সড়ক রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের দখলে দেখা গেছে।
বসুমতি পরিবহনের চালক মো. হাসান বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরে আজকে মানুষজন ঘর থেকে অনেক কম বাইর হইছে। অবরোধে একটু-আধটু মানুষ বাইরে আসতো। এখন বেশিরভাগ মানুষজন প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। মানুষজন আতঙ্কে আছে। সড়কে বাসের সংখ্যাও অনেক কম। যাত্রীদের মধ্যে যারা অফিসে যাচ্ছেন, তারাই যাতায়াত করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পল্লবী থানার এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বলেন, চলমান অবরোধকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই আমাদের অবস্থা। মিরপুর এলাকার বেশ কয়েকটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
আরকেআর/এমএমআই/এফআর