ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পিরোজপুর-বাগেরহাটের সীমানা নিয়ে বিরোধ, ৯ ঘর ভাঙচুর-লুটপাট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৩
পিরোজপুর-বাগেরহাটের সীমানা নিয়ে বিরোধ, ৯ ঘর ভাঙচুর-লুটপাট

পিরোজপুর: পিরোজপুর ও বাগেরহাট এ দুই জেলার সীমানার জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় জেলার নাজিরপুর উপজেলার ৯টি বসত ঘর ভাঙচুরসহ ঘরে থাকা মালামাল লুট করার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) জেলার নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়ারী গ্রামের সীমানাবর্তী স্থানে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় ওই দিন দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাক্তার সঞ্জীব দাশ, বাগেরহাট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল উর রহমান,  পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রবিউল ইসলাম, চিতলমারি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বেদবতী মিস্ত্রী, ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম, নাজিরপুর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির, সন্তোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিউটি বেগম প্রমুখ।

স্থানীয়রা জানান, ওই দিন সকালে কিছু লোকজন অতর্কিতভাবে হামলা করে বিবদমান জমিতে থাকা মো. নাজমুল ইসলাম, মুনসুর শিকদার, রবিউল ইসলাম সরদার, ছালাম সর্দার, রাকাইদ মোল্লা, সিরাজ মোল্লা, শামিম মোল্লা, রাজ্জাক মল্লিক, রমজান শেখের ৯টি বসত বসত ভাঙচুর করেন। এ সময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা মালামাল লুটপাট করেন। এ ছাড়া রাস্তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সেখানের খালে থাকা সেতু ভেঙে ফেলেন।

স্থানীয় নাজমুল সর্দার ওই জমি তাদের (নাজমুল) দাবি করে জানান, ওইদিন সকালে স্থানীয় পশ্চিম চর বানিয়ারী গ্রামের আনসার কমান্ডার পলি মোল্লা, মিন্টু বিশ্বাস, রতিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে ৭০-৮০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। এ সময় সেখানে থাকা বসত ঘর ভাঙচুরসহ ঘরের মালামাল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর সহ লুট করেন।

এ সময় ঘরে থাকা নারী পুরুষদের ধাওয়া করে। তারা ভয়ে প্রাণ রক্ষার্থে পালিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারীরা ৪টি গরুও লুটে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, দুই উপজেলার সীমানাবর্তী জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ধান পাকার মৌসুমকে কেন্দ্রকরে প্রায় প্রতিবছরই এমন ঘটনা ঘটে। এর জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তদন্ত করে এর কারণ জানা যাবে।
নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাক্তার সঞ্জীব কুমার দাশ বলেন, হামলাকারীদের শনাক্ত করা যায় নি। তবে ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্য মতে প্রতিপক্ষ ওই হামলা করেছে। ওই জমি নিয়ে বিরোধ মীমাংসায় দুই জেলা ইতোমধ্যে কয়েকবার বৈঠকে বসেছে। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা রয়েছে।

মাটিভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম বিলু বলেন, দুই উপজেলার সীমানার জমি নিয়ে গত প্রায় ৬০-৭০ বছর ধরে বিরোধ চলছে। বিরোধ মীমাংসায় আমার বাবা সাবেক  ইউপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সত্তার সহ দুই জেলা এবং উপজেলার প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের নিয়ে কয়েকবার বৈঠক হয়েছে।  কিন্তু তা মীমাংসা সম্ভব হয় নি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।