ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘অতি উন্নয়নে শহর হিট আইল্যান্ডে পরিণত হয়েছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
‘অতি উন্নয়নে শহর হিট আইল্যান্ডে পরিণত হয়েছে’ ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (আইএবি)'র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. আলী নকী বলেছেন, টেকসই শহুরে রূপান্তরের অনেক বিষয় আমাদের সামনে দৃশ্যমান। দেশে অনেক উন্নয়ন কাজ হচ্ছে, আবার এসব কাজের ফলে আমাদের নাগরিকদেরও অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

শহরে উন্নয়নের মাত্রা এত বেড়ে গেছে যার ফলে এ শহর একটি হিট বা গরম আইল্যান্ডে পরিণত হয়েছে।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের হল ৪ এ 'ভিশনিং বাংলাদেশ ২০৫০: টেকসই শহুরে রূপান্তর এবং স্থানিক উন্নয়ন' শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।

ড. আলী নকী বলেন, আমারা যারা পরিকল্পনাবিদ বা ইঞ্জিনিয়ার আছি তারা সবাই জানি একটি শহরে বড় কোনো কনক্রিট কাঠামো থাকলে সেখান থেকে প্রচুর তাপ নির্গত হয়। আর একটি শহরে যত বেশি সবুজায়ন থাকবে তত বেশি শহর ঠান্ডা থাকবে। সে কারণে এসব স্থাপনা যেহেতু আমাদের প্রয়োজনই, তাই কি করলে এ সমস্যা থেকে কিছুটা কম হলেও উত্তরণ করা যায় সে দিকে বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের গ্রীন ডেভেলপমেন্টের দিকে বেশি নজর দিতে হবে।

রাজউক সদস্য (পরিকল্পনা) নাসির উদ্দিন বলেন, সাস্টেনেবল ডেভলপমেন্টের চিন্তা করলে আমাদের প্লট বেইজড জমি থেকে সরে এসে ব্লক বেজ জমির দিকে যেতে হবে। পাশাপাশি উত্তরাধিকার সূত্রে কেউ কোনো জমি পেলে সে জমিকে অনেক ছোট ছোট ভাগ করা হয়। সেখানে কিন্তু বাস্তব অর্থে কোনো বিল্ডিং করা সম্ভব না। পৃথিবীর কোথাও প্লট বেজ জমিকে সমর্থন করে না। কারণ সেখানে গ্রীন স্পেস রাখার ব্যবস্থা কম থাকে। উন্নত দেশগুলোতে কোনো বিল্ডিং করলে তার আশপাশে অবস্যই গ্রীন স্পেস রাখা হয়। যেটা আমাদের দেশে হয় না। আমাদের দেশে একটি বাড়ির সঙ্গে আরেকটি বাড়ি লাগিয়ে বানানো হয়।

নাসির উদ্দিন বলেন, গ্রীন স্পেস বাড়ানোর জন্য ভবনের সঙ্গে ভবন না করে, ফ্লোর হাইট কমিয়ে ফ্লোর সংখ্যা বাড়িয়ে বহুতল ভবন তৈরি করে তার আশপাশে গ্রীন স্পেস রাখা যেতে পারে। এর ফলে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা পাবে।

সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিআইপি'র সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান।  

তিনি বলেন, ডিটেল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) যেসব প্রস্তাবনা আছে সেখানে অনেক ভালো ভালো পরামর্শ দেওয়া আছে। তবে মানুষ ড্যাপের সমালোচনা করছে শুধুমাত্র অ্যাপার্টমেন্টের ফ্লোর হাইট রেশিও কমানোর বিষয়টাকে নিয়ে। কিন্তু ড্যাপের ভালো ভালো দিকগুলো নিয়ে তারা কোনো আলোচনা করছে না।

সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)'র সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ফজলে রেজা সুমন।

সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) শাবিহা পারভিন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
ইএসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।